বিরোধীতা ভুলে একসঙ্গে মহুয়া মৈত্র, নবীন জিন্দল, কঙ্গনা রানাউত এবং সুপ্রিয়া সুলে।
ছবিতে সবার সামনে বাঁ দিকে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। তাঁর পিছনে, মধ্যমণি হয়ে বিজেপি সাংসদ নবীন জিন্দল। তাঁরও পিছনে প্রায় পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত এবং শরদ পওয়ারের কন্যা, এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। দু’বাহু প্রসারিত, মুখে হাসি। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তাঁরা যতই যুযুধান হোন না কেন, এই ফ্রেমে কিন্তু ‘বাতিল যুদ্ধসাজ’। কারণ এখানে পেল্লায় আয়না-আঁটা হলঘরে চলছে নাচের মহড়া! আর সেখানে শাসক-বিরোধীর বেড়া ভেঙে ফুরফুরে মেজাজে সাংসদেরা।
আসলে সামনেই নবীনের মেয়ের বিয়ে। কঙ্গনাদের সঙ্গে নিয়ে সেই বিয়েবাড়ির ‘সঙ্গীত’ উপলক্ষে হতে চলা নাচেরই মহড়া দিচ্ছিলেন নবীন। বুধবার কঙ্গনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট হওয়া সেই নাচের মহড়ার ছবির সঙ্গে লেখা ছিল, ‘সতীর্থ সাংসদদের সঙ্গে কিছু ফিল্মি মুহূর্ত। হা হা। নবীন জিন্দলজির মেয়ের বিয়ের সঙ্গীতের মহড়া চলছে।’ পরে অবশ্য পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি কঙ্গনার অ্যাকাউন্টে। তবে তত ক্ষণে সমাজমাধ্যম সরগরম। এসআইআর থেকে সঞ্চার সাথী— নানা বিষয়ে সংসদ যখন উত্তপ্ত, তখন শাসক শিবিরের দুই সাংসদের সঙ্গে তৃণমূলের মহুয়া আর এনসিপি-এসসিপি-র সুপ্রিয়ার নাচের ছবি নিয়ে চলেছে চর্চা। বিজেপির কট্টর সমালোচক মহুয়া এক বার কঙ্গনার ওয়াই-প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন। আবার শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে তরজায় জড়িয়েছিলেন কঙ্গনা। সে সব পুরনো কথাই উঠে এসেছে আলোচনায়। তবে কুরুক্ষেত্রের বিজেপি সাংসদ তথা শিল্পপতি নবীনের বাড়ির বিয়েতে দলমত নির্বিশেষেই সাংসদেরা আমন্ত্রণ পেয়েছেন শোনা যাচ্ছে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে