ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ সময় তাঁর ফোন ও গতিবিধির উপরে নজরদারি চলছে বলে সরব ছিলেন মুকুল রায়। আজ দিল্লি হাইকোর্ট ওই মামলায় পশ্চিমবঙ্গ, কেন্দ্রীয় সরকার ও টেলিকম সংস্থা-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
বিজেপিতে যাওয়ার পরে রাজ্য সরকার তাঁর মোবাইল ও গতিবিধিতে চব্বিশ ঘণ্টা নজর রাখছে বলে অভিযোগ মুকুলবাবুর। আজ এ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। রাজ্য সরকার, পশ্চিমবঙ্গের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার, কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক এবং মুকুলবাবুর মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ভোডাফোন ও এমটিএনএল-র কাছে বিচারপতি বিভু ভাকরু জানতে চেয়েছেন, সত্যিই ওই নেতার মোবাইলে গোয়েন্দারা আড়ি পেতেছেন কি না। এই বিষয়ে সিলবন্ধ খামে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি। আড়ি পাতা হয়ে থাকলে কার নির্দেশে হয়েছে, তারও উল্লেখ চেয়েছেন তিনি।
রাজ্য ও কেন্দ্রের কৌঁসুলিরা মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের আদালতে হওয়া উচিত বলে যুক্তি দিয়েছিলেন। মুকুলবাবুর তরফে পাল্টা যুক্তি, কলকাতায় তিনি সর্বদা পুলিশের নজরদারিতে থাকেন। তাছাড়া বর্তমানে তিনি দিল্লির ভোটার।