‘সাইকেলে’র দখল নিয়ে এক দিকে হা়ড্ডাহাড্ডি লড়াই চালাচ্ছেন বাবা আর ভাই। কিন্তু এ সব থেকে শত হাত দূরে মুলায়ম সিংহ যাদবের ছোট ছেলে প্রতীক। লখনউয়ের রাস্তায় পাঁচ কোটির ল্যাম্বর্গিনি হাঁকিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
সমাজবাদী পার্টির প্রতীক ‘সাইকেল’-এর দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে গত কালও নির্বাচন কমিশনে গিয়েছেন মুলায়ম ও তাঁর বড় ছেলে অখিলেশ। কিন্তু রাজনৈতিক লড়াইয়ে কোনও আগ্রহই নেই মুলায়মের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সাধনা গুপ্তর ছেলে প্রতীকের। শুক্রবারও ল্যাম্বর্গিনি চেপে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
কুস্তিগির প্রতীক বরাবরই ব্যস্ত থাকেন শরীরচর্চা ও ব্যবসা নিয়ে। তাঁর নিজের জিম রয়েছে। যা এক সময় উদ্বোধন করেছিলেন বাবা মুলায়মই। পারিবারিক সূত্রে খবর, ছোটবেলায় দেহরাদূনে পড়ার সময় এক বার নিউমোনিয়া হয়েছিল প্রতীকের। চিকিৎসার জন্য স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন নেওয়ায় পরই নাকি তাঁর ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ১০৩ কেজিতে। তার পর থেকে শরীরচর্চাই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। যাদবদের বিরাট ব্যবসা ও জমিজমার দেখভাল করেন এই ছোট ছেলেই। বিয়ে করেছেন দীর্ঘদিনের বান্ধবী অপর্ণা বিস্তকে। তাঁর ও অপর্ণার একটি তিন বছরের মেয়ে রয়েছে।
প্রতীক রাজনীতিতে আগ্রহী না হলেও, তাঁর স্ত্রী অপর্ণা ইতিমধ্যেই আসন্ন ভোটে লখনউ ক্যান্টনমেন্ট আসনের ঘোষিত প্রার্থী। যাদববংশের সাম্প্রতিক মুষলপর্বের জন্য অপর্ণা ও অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পলের ঠাণ্ডা লড়াইও কিছুটা দায়ী বলে মনে করেন লখনউয়ের রাজনীতিকরা। ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতি নিয়ে স্নাতকত্তোতর ডিগ্রিধারী অর্পণা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পারদর্শী। সপা সূত্রের খবর, বছর ছয়েক আগে লখনউয়ে দলীয় অফিসে ঢুকে ২০১৪-র সাধারণ নির্বাচনে আজমগড় থেকে লড়ার জন্য প্রতীককে টিকিট দেওয়ার দাবি তোলেন এক দল কর্মী-সমর্থক। কিন্তু সেই সময় প্রতীককে টিকিট দেওয়া হয়নি। ছেলেকে নিয়ে মা সাধনার রাজনৈতিক আশা ধাক্কা খেয়েছে বার বারই। তাই ছোট বউমা অর্পণাকে মুলায়ম নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দেওয়ায় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তিনি। ছেলেকে রাজনীতিতে নামতে রাজি না করাতে পেরে বাজি পুত্রবধূই। অপর্ণাকে জেতাতে উৎসাহের
অভাব নেই অখিলেশের কাকা শিবপাল যাদবেরও।