মুনিজা হাশমি
পাকিস্তানি কবি ফৈজ় আহমেদ ফৈজ়ের মেয়ে মুনিজা হাশমিকে পত্রপাঠ ফেরত পাঠানোর অভিযোগে প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই আচরণ লজ্জাজনক বলে দাবি করেছে বিভিন্ন শিবির।
দিল্লিতে ১০-১২ মে সংবাদমাধ্যম সংক্রান্ত একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজকদের মধ্যে ছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকও। তাতে বক্তার তালিকায় ছিলেন পাক টেলিভিশন ও সংবাদমাধ্যম জগতের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব মুনিজা। আয়োজকদের দাবি, সম্মেলনের ঠিক আগে ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়, মুনিজাকে সম্মেলনে যোগ দিতে দেওয়া যাবে না। তাঁর জন্য নির্দিষ্ট হোটেলেও ‘চেক-ইন’ করতে পারবেন না ওই পাকিস্তানি ব্যক্তিত্ব। আয়োজকদের একাংশের দাবি, তাঁরা মুনিজার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁকে অন্য হোটেলে নিয়ে যান। পরের দিন সকালে তিনি পাকিস্তান ফিরে যান।
মুনিজার ঘনিষ্ঠদের দাবি, তিনি এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে চাননি। কারণ, তিনি বরাবরই ভারত-পাক সুসম্পর্কের পক্ষপাতী। তাই তাঁর মনে হয়েছিল, এ নিয়ে আর জলঘোলা হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বিষিয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশে খবরটি প্রকাশিত হয়। এর পরে মুনিজার ছেলে আলি হাশমি টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর ও বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘‘এটাই কি আপনাদের উজ্জ্বল ভারতের উদাহরণ? আমার ৭২ বছর বয়সি মা-কে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে গিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত।’’ তার পরে এক টুইটে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর মাতামহ প্রয়াত ফৈজ় আহমেদ ফৈজ়ের ছবিও দিয়েছেন তিনি।
পাক কবি ফৈজ় আহমেদ ফৈজ়ের সঙ্গে অটলবিহারী বাজপেয়ী। এই ছবিটিও টুইট করেন আলি হাশমি।
সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে দাবি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের। তবে ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন আইনজীবী-রাজনীতিক প্রশান্ত ভূষণ-সহ অনেকেই।