National News

মুসলিম বলে সুবিচার পাননি, তাই হিন্দু হলেন আখতার!

বাগপতের বরারখা জেলার বাসিন্দা আখতার। মাসখানেক আগে তাঁর ছেলে গুলহাসানের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:১১
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

মুসলিম বলেই কি ছেলের হত্যার সুবিচার পাচ্ছেন না? ছেলের হত্যাকে পুলিশ আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে?— এই প্রশ্নগুলোই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল আখতারকে। আর ততই তিনি হতাশ হচ্ছিলেন। সুবিচার পেতে তাই একেবারে ধর্ম পরিবর্তনের রাস্তা বেছে নিলেন। রীতিমতো হলফনামা দিয়ে মহকুমা শাসকের কাছে সে কথা জানিয়েও আসেন আখতার। আর এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠে গেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।

Advertisement

বাগপতের বরারখা জেলার বাসিন্দা আখতার। মাসখানেক আগে তাঁর ছেলে গুলহাসানের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগও করেন আখতার। কিন্তু পুলিশ খুনের অভিযোগ না নিয়ে সেটাকে স্রেফ আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মামলা রুজু করে। প্রচণ্ড হতাশ হয়েছিলেন আখতার। শেষমেশ ছেলের হত্যার সুবিচার পেতে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন আখতার ও তাঁর পরিবারের ১২ জন সদস্য!

বাগপতের জেলাশাসক ঋষিরেন্দ্র কুমার জানান, পুলিশিতদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে আখতার ও তাঁর পরিবার ধর্ম পরিবর্তন করে বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রীতিমতো যজ্ঞ করে ধর্ম পরিবর্তনের আয়োজন করে যুব হিন্দু বাহিনী। রাজ্যের যুব হিন্দু বাহিনী (ভারত)-র প্রধান সৌখেন্দ্র খোখার বলেন, “হিন্দু রীতিনীতি মেনেই নাম পরিবর্তন করেছেন আখতারের পরিবার। যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল।” তিনি আরও জানান, খুনের প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিয়ে পুলিশ সেটা আত্মহত্যা বলে মামলা রুজু করায় আখতার প্রচণ্ড হতাশ হয়েছিলেন।শুধু তাই নয়, স্বধর্মের লোকেদের কাছে সাহায্যের আশায় ছুটে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখান থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁকে। কেউই তাঁর পাশে দাঁড়াতে চাননি। এক দিকে পুলিশের ভূমিকা এবং অন্য দিকে স্বধর্মী লোকেদের আচরণ— এই দুই কারণে আখতার প্রচণ্ডঅসহায়হয়ে পড়েন। আর সেই কারণেই ধর্ম পরিবর্তন করেন তিনি ও তাঁর পরিবার।

Advertisement

আরও পড়ুন: সর্বকালীন সস্তা হল টাকা, ডলার প্রতি বিনিময় মূল্য ৭৩ ছাড়াল

আরও পড়ুন: অহিংসা দিবসেই কৃষক মিছিলে চলল লাঠি, জল-কামান, কাঁদানে গ্যাস

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। বাগপতের জেলাশাসক ঋষিরেন্দ্র কুমার জানান, জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন