Engineering Student Death

তিন দিন আগে জন্মদিন পালন বন্ধুদের সঙ্গে, বুধবার রাতে হস্টেলে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর দেহ উদ্ধার কর্নাটকে

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পড়াশোনার চাপ নিতে পারছিলেন না ছাত্রী। পড়াশোনার প্রতি অনীহাও প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ১৮:২৫
Share:

মৃত ছাত্রী তেজস্বিনী। ছবি: সংগৃহীত।

তিন দিন আগে জন্মদিন পালন করেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। হইহুল্লোড়ও করেছিলেন। বুধবার রাতে হস্টেল থেকে দেহ উদ্ধার হল কর্নাটকের প্রথম বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। মৃতের নাম তেজস্বিনী। তিনি পোনামপেটের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। ছাত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে রহস্য তৈরি হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, পড়াশোনার চাপ নিতে পারছিলেন না ছাত্রী। পড়াশোনার প্রতি অনীহাও প্রকাশ করেছেন। তবে চিঠিতে হাতের লেখা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। বিষয়টি আত্মহত্যা না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাত্রীর বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব কর্নাটকের রাইচূড়ের বাসিন্দা তেজস্বিনী। দিন তিনেক আগে তাঁর জন্মদিন পালন করেন বন্ধুদের সঙ্গে। যে সব বন্ধুরা তাঁর জন্মদিনে হাজির থাকতে পারেননি, বুধবার তাঁদের সকলকে মিষ্টি বিতরণ করেন। তার পর ক্লাস করে বিকেল ৪টের সময় হস্টেলে ফিরে আসেন। সাড়ে ৪টে নাগাদ এক সহপাঠী তেজস্বিনীকে ডাকতে যান। কিন্তু ঘর ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তেজস্বিনীর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁকে ফোনও করেন। বিষয়টি হস্টেল সুপারকে জানান তেজস্বিনীর ওই সহপাঠী। তার পর দরজা ভেঙে ঢুকতেই তেজস্বিনীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কাছেই পড়ে ছিল একটি চিঠি। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই চিঠিতে মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement