উইপোকার তুলনা টানলেন মোদীও

আজ ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে গিয়ে মোদী বললেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি হল উইপোকার মতো। দেশকে এ সব শেষ করে দিচ্ছে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৫
Share:

করমর্দন: ভোপালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।

উইপোকার তুলনা এ বার নরেন্দ্র মোদীর মুখেও।

Advertisement

ক’দিন আগেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উইপোকার সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আর আজ ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে গিয়ে মোদী বললেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি হল উইপোকার মতো। দেশকে এ সব শেষ করে দিচ্ছে।’’ গত সাত দশকে কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলি ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি করে দেশকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। মোদীর মন্তব্য, ‘‘চেয়ার বাঁচাতে ওই দলগুলি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে। এতে সামাজিক সম্প্রীতিও নষ্ট হয়।’’ এ সঙ্গেই তাঁর দাবি, বিজেপি সমাজের সকলের পাশে থেকে উন্নয়নে বিশ্বাসী। কেন্দ্র মনে করে, দেশের উন্নতি করতে হলে রাজ্যগুলির বিকাশ জরুরি।

ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির সূত্র ধরেই তিন তালাক প্রসঙ্গ টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার তাঁর নিশানায় সনিয়া গাঁধী। মোদী বলেন, ‘‘তিন তালাক প্রথা মুসলিম দেশগুলিতেও টিঁকছে না।... আর এ দেশে একটি দলের মাথার উপরে বসে রয়েছেন এক জন মহিলা। অথচ দেশের মুসলিম বোনেদের হাল দেখে তিনি এতটুকু উদ্বিগ্ন নন। এটাই ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির কুৎসিত দিক।’’ মোদীর মতে, লোকসভায় মাত্র ৪৪টি আসন পেলেও কংগ্রেস উদ্ধত, আজও আত্মসমীক্ষায় রাজি নয়। বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, সাত দশকের ভোটব্যঙ্ক রাজনীতিকে শেষ করতে হবে।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনেরই বিজেপি কর্মীদের এনে ভোপালে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। এ দিন অমিত শাহও জনসভার মঞ্চ থেকে ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁর দাবি, বিজেপি দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে নয়। মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়ের দাবি করেও সংগঠনকে তৃণমূলস্তরে নেওয়ার উপরে জোর দেন অমিত।

জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান মোদীর সুরেই আক্রমণ করেন রাহুল গাঁধীকে। বলেন, ‘‘উনি বলেন আমি নাকি প্রকল্প ঘোষণা করার মেশিন। আর আমি বলছি, রাহুল আসলে মজা করার একটা মেশিন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন