ঋণ মকুবে মোদীর আমরা-ওরা

প্রথমে উত্তরপ্রদেশ, তার পর মহারাষ্ট্র কৃষি ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, অসমের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যেও একই দাবি উঠেছে। অরুণ জেটলি সোমবার বলেছেন, ঋণ মকুবের দায় কেন্দ্র নেবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ০৪:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র।

মুখে বলছে, দায় রাজ্যেরই। কিন্তু যে সব বিজেপি শাসিত রাজ্য কৃষি ঋণ মাফ করছে, তাদের ঘুরপথে সাহায্য করার চেষ্টা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

প্রথমে উত্তরপ্রদেশ, তার পর মহারাষ্ট্র কৃষি ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, অসমের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যেও একই দাবি উঠেছে। অরুণ জেটলি সোমবার বলেছেন, ঋণ মকুবের দায় কেন্দ্র নেবে না। রাজ্যের কোষাগার থেকেই মেটাতে হবে। কিন্তু সে দিনই দিল্লিতে এসে নরেন্দ্র মোদী ও নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে বৈঠক করে, উত্তরপ্রদেশে সড়ক তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করে নিয়ে গিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।

ফলে বিরোধী শিবিরের সন্দেহ, কেন্দ্র বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে ঘুরপথে সাহায্য করবে। কিন্তু পঞ্জাব, কর্নাটকের মতো কংগ্রেস শাসিত রাজ্য কৃষি ঋণ মকুব করতে গেলে কেন্দ্র ফিরেও তাকাবে না।

Advertisement

মোদী সরকারের শীর্ষব্যক্তিরা বলছেন, কৃষক বিক্ষোভ সামলাতে ঋণ মকুবের মলম লাগানো ছাড়া উপায় নেই। সে জন্য সরাসরি না হলেও উন্নয়ন খাতে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে সাহায্য করতেই পারে। যাতে রাজ্যের হাতে ঋণ মকুবের জন্য বাড়তি অর্থ থাকে। যদিও অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এখন সেই সুযোগ বড়ই অল্প। এমনিতেই চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে মোট রাজস্ব আদায়ের ৪২ শতাংশই রাজ্যগুলিকে দিতে হচ্ছে। সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার চাপও রয়েছে। কেন্দ্রেরই নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর দশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন