১৬ মাসে চাকরি হয়েছে ২ কোটি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

বছরে ২ কোটি নতুন চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু চার বছরে সেই স‌ংখ্যা এর ধারেকাছেও না পৌঁছনোয় এত দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে এসেছেন বিরোধীরা।

Advertisement

 সংবাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০০
Share:

নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

বছরে ২ কোটি নতুন চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু চার বছরে সেই স‌ংখ্যা এর ধারেকাছেও না পৌঁছনোয় এত দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে এসেছেন বিরোধীরা। সেই সমালোচনার মধ্যেই লোকসভা ভোটের মুখে মোদী সরকার দাবি করল, ২০১৭-র সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮-র ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ ১৬ মাসে চাকরি হয়েছে প্রায় ২ কোটি।

Advertisement

ওই সময়ের মধ্যে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনশিওরেন্স কর্পোরেশন (ইএসআইসি)-এর বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পে যোগ দিয়েছেন যাঁরা, সেই সংখ্যাকেই এ দিন সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দফতর। জানানো হয়েছে, ২০১৭-র সেপ্টেম্বর থেকে পরের ১৬ মাসে ১ কোটি ৯৬ লক্ষ নতুন সদস্য প্রকল্পগুলিতে যোগ দিয়েছেন। তবে সংগঠিত ক্ষেত্রের বাইরেও যে একটা বড় অংশ রয়েছে এবং সেখানকার কর্মসংস্থানের তথ্য ঠিক ভাবে পাওয়া যায় না, আজ সে কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা কমিটির প্রধান বিবেক দেবরায়। প্রধানমন্ত্রী মোদীও এ দিন একটি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে বিরোধীদের উদ্দেশে পাল্টা

প্রশ্ন তোলেন, দেশে যখন রেকর্ড আর্থিক বৃদ্ধি হচ্ছে, তখন চাকরি হচ্ছে না, এমন অভিযোগ উঠছে কী করে! তাঁর মন্তব্য, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ কিংবা কর্নাটকে যখন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে, তখন কী ভাবে বলা সম্ভব, ভারতে কোনও চাকরি হচ্ছে না?’’ মোদীর দাবি, তাঁর সরকার কালো টাকার সূত্র খুঁজে বের করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। তাতেই কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে ঘাটতি নয়, পুলিশকে বার্তা মমতার

তবে পাঁচ বছরে চাকরি সৃষ্টির ক্ষেত্রে সব কিছু করা সম্ভব হয়নি, সে কথা স্বীকার করে নেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘‘চাকরি সৃষ্টির ক্ষেত্রে সব পদক্ষেপ করা হয়েছে, এমন দাবি করব না। আরও অনেক কিছু

করার রয়েছে। তবে এটা বলতে পারি, চাকরি সৃষ্টির প্রশ্নে বিশ্বের সামনে উদাহরণ হয়ে উঠবে ভারত।’’ পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার বলেছে, গত বছরে ৯ লক্ষ চাকরি সৃষ্টি হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই সংখ্যা ৬৭ লক্ষ। আমার কথা পছন্দ না হতে পারে, কিন্তু ওদের কথা তো মানবেন!’’

পরিবহণের ক্ষেত্রের বিকাশের উদাহরণ টেনে মোদীর যুক্তি, গত আর্থিক বছরে সাড়ে সাত লক্ষ বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে। এত গাড়ি বিক্রি হলে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে না? প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নি আসছে। রেল, সড়কে বিকাশ হচ্ছে। চাকরি হবে না কেন?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন