Joe Biden and Narendra Modi

মোদী-বাইডেন বৈঠকে সাংবাদিকেরা ব্রাত্যই

হোয়াইট হাউসের বক্তব্য, একাধিক বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বাইডেনের সঙ্গে সফররত সাংবাদিকদের ওই বৈঠকের খবর করার জন্য উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৭
Share:

(বাঁ দিকে) জো বাইডেন এবং (ডান দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার।

জো বাইডেনের ওয়াশিংটনের বাসভবনে তাঁকে বেকায়দায় ফেলেছিল আমেরিকান সাংবাদিকের ‘বিড়ম্বনার’ প্রশ্ন। আর তাঁর দিল্লির বাসভবনে বাইডেন আসার দিনে সংবাদমাধ্যমকে সেখানে ঢুকতেই দিলেন না নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিজের দেশে একটিও সাংবাদিক বৈঠক করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তবে আমেরিকা সফরে যাওয়া মোদীকে হোয়াইট হাউসে ভারতের মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রশ্ন করে গেরুয়া-বাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক সাবরিনা সিদ্দিকি। আজ বাইডেন জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি এসে ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সেই বৈঠক ছিল রুদ্ধদ্বার। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, আমেরিকা থেকে আসা সাংবাদিকদের ওই সময়টায় বাস থেকে নামতেই দেওয়া হয়নি। বৈঠকের পরে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।

হোয়াইট হাউসের বক্তব্য, একাধিক বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বাইডেনের সঙ্গে সফররত সাংবাদিকদের ওই বৈঠকের খবর করার জন্য উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রেসিডেন্ট ঘরে-বাইরে যেখানেই যান, তাঁর দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের একটি বড় প্রতিনিধিদল তাঁর সফরসঙ্গী হয়। এ ভাবে কোনও দেশে সেই সাংবাদিকদের ব্রাত্য করে রাখার নজির সাম্প্রতিক অতীতে নেই বলেই জানা যাচ্ছে।

Advertisement

বস্তুত, হোয়াইট হাউসের তরফে সাংবাদিকদের বিতরণ করা সূচিতেই কোথাও এমন লেখা ছিল না যে, মোদী-বাইডেন বৈঠকস্থলে তাঁদের প্রবেশাধিকার থাকবে। ভারতে আসার পথে প্রেসিডেন্টের এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানেই আমেরিকান সাংবাদিকেরা এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁদের সরকারি কর্তাদের। তখন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেছিলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবনে ওই বৈঠক হচ্ছে। সে দিক দিয়ে এটাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বলা যায় না। জি২০ সম্মেলনের আয়োজক তিনি (মোদী)। নিজের বাড়িতে তিনি কয়েক জন রাষ্ট্রনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁর নিজস্ব কিছু নিয়ম-কানুন তিনি বজায় রেখেছেন।’’

সাংবাদিকদের ছাড়পত্র দেওয়ার প্রসঙ্গে সালিভান জানান, হোয়াইট হাউসে এমন কোনও বৈঠক হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জন্য আলাদা সময় রাখা হয়। বাইডেন সকলের সঙ্গে কথা বলেন। এখানেও একাধিক বার ওয়াশিংটনের তরফে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তবে তা মঞ্জুর হয়নি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জঁ-পিয়ের আজকের বৈঠক নিয়ে জানিয়েছেন, জি২০ সম্মেলন সেরেই ভিয়েতনামে উড়ে যাচ্ছেন বাইডেন। একক ভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তিনি। সেখানে খোলামেলা ভাবে সব বিষয়ে কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট।

বিষয়টি নিয়ে শাসক বিজেপিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের টিম বলছে, বহু অনুরোধ সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে প্রশ্ন করার অনুমতি দেয়নি ভারত। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বার ১১ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনামে সাংবাদিকদের প্রশ্ন নেবেন। একেবারেই বিস্ময়কর নয়। এটাই মোদী-স্টাইলের গণতন্ত্র!’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন