হাড় ভেঙেছে যশোদার, খোঁজও নেননি মোদী

গত বুধবার সকাল দশটা নাগাদ রাজস্থানে যশোদাবেনের গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। পরিবারের একজন মারা যান। এখন কেমন আছেন যশোদা?

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৩
Share:

যশোদাবেন। —ফাইল চিত্র।

পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁর কোনও খবর কোথাও নেই। দিল্লি হোক বা গুজরাত— বিজেপির কিছু নেতাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁদের কাছেও খবর নেই। ঘুরেফিরে একই জবাব, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী। হাইপ্রোফাইল বিষয়। আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে।’’ একজন তো বলে বসলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বলে খোঁজ নেওয়াও বারণ!

Advertisement

গত বুধবার সকাল দশটা নাগাদ রাজস্থানে যশোদাবেনের গাড়ির সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। পরিবারের একজন মারা যান। এখন কেমন আছেন যশোদা? টেলিফোনে ধরা গেল তাঁর ভাই অশোক মোদীকে। গুজরাতের মেহসানায় তাঁর সঙ্গেই থাকেন যশোদাবেন। তিন বছর আগে পাসপোর্টের আবেদনে যশোদাবেন যখন স্বামী হিসেবে মোদীর নাম লেখেন, বিদেশ মন্ত্রক সে আবেদন খারিজ করেছিল। বলেছিল, বিয়ের সার্টিফিকেট কিংবা স্বামী-স্ত্রীর যৌথ হলফনামা নেই। সেই সময়েও এই অশোকই যশোদাবেনের পাশে দাঁড়িয়ে সরব হয়েছিলেন।

সেই অশোকই এ দিন বললেন, ‘‘যশোদাবেন আপাতত ঠিকই আছেন। বাড়ি ফিরে এসেছেন। তাঁর হাতের আঙুলের হাড় ভেঙেছে।’’ দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর দফতর থেকে কোনও ফোন? কোনও খোঁজ নেওয়া? অশোক মোদীর আফশোস, ‘‘কোনও ফোন আসেনি। কেউ খোঁজ নেননি। গুজরাত সরকারের থেকেও কেউ খোঁজ নেয়নি। তবে দুর্ঘটনার সময় রাজস্থান সরকার সাহায্য করেছে।’’

Advertisement

ঘটনাচক্রে দুর্ঘটনার দিনই সংসদের দুই সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেত্রী রেণুকা চৌধুরির হাসি নিয়ে কটাক্ষ করেন। তখনই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, নিজের স্ত্রীকে যিনি সম্মান দিতে জানেন না, তিনি কী করে অন্য মহিলার সম্মান রক্ষা করবেন? অনেকেরই মত, লোকসভা নির্বাচনের সময়ে বাধ্য হয়ে প্রথম বার স্ত্রী-র নাম হলফনামায় লিখেছিলেন মোদী। দুর্ঘটনার পর একবার খোঁজ নিতে পারতেন!

বিজেপি নেতাদের অবশ্য মত, এটি নিতান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এই নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন