নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
সঙ্ঘ পরিবারের বিএমএস থেকে শুরু করে অন্য সব ট্রেড ইউনিয়নের হুমকির মুখে শ্রমিক সম্মেলন পিছিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এই শ্রমিক সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এ বারের বাজেটে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় কিছু নেই বলে আন্দোলনে নেমে বিএমএস হুঁশিয়ারি দেয়, ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের দাবিদাওয়া মানা না হলে সম্মেলন বয়কট করা হবে। কংগ্রেসের সংগঠন আইএনটিইউসি-কে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি সরকার। তা নিয়ে অন্য শ্রমিক সংগঠনগুলিও সম্মেলন বয়কটের হুঁশিয়ারি দেয়। সম্মেলনে তারা গরহাজির থাকলে মোদীর মুখ পুড়ত। সে কারণেই সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রম মন্ত্রকের তরফে অবশ্য কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। মঙ্গলবার ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে শুধু ছোট্ট বার্তায় সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়ার খবর জানানো হয়। বিএমএস নেতা ব্রিজেশ উপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন সম্মেলন পিছিয়েছে, সেই কারণ আমাদের জানানো হয়নি।’’
শ্রম মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, কয়লা ক্ষেত্রে আইএনটিইউসি-র কোন সংগঠন স্বীকৃত, তা নিয়ে মামলা চলছে। সেই কারণেই তাদের ডাকা হয়নি। প্রতিবাদে বাকি সব ইউনিয়ন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ারকে চিঠি দেয়। আজ সম্মেলন পিছ়নো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিটু নেতা তপন সেন, ইউটিইউসি নেতা অশোক ঘোষও। তপনবাবুর কথায়, ‘‘আমাদের দাবি, সরকার এই সম্মেলনকে প্রহসনে পরিণত না করে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করুক।’’