রাহুলের মধ্যরাতের মিছিল মুখ খোলালো মোদীকে

উন্নাওয়ের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ককে এ দিন ভোরে আটক করে রাতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর কাঠুয়ার গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের সমর্থন করে বিতর্কে জড়ানো দুই মন্ত্রী রাতে ইস্তফা দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

নরেন্দ্র মোদী।

রাহুল গাঁধীর মধ্যরাতের মিছিল নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

Advertisement

উন্নাওয়ের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ককে এ দিন ভোরে আটক করে রাতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর কাঠুয়ার গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের সমর্থন করে বিতর্কে জড়ানো দুই মন্ত্রী রাতে ইস্তফা দিয়েছেন। শুধু এটুকুই নয়। এই দু’টি ঘটনা নিয়ে রাহুল গাঁধীর তীব্র কটাক্ষ এবং জনরোষের আঁচ পেয়ে অবশেষে মুখ খুললেন স্বয়ং মোদী। রাতে এক অনুষ্ঠানে তাঁর আশ্বাস, ‘‘অপরাধীরা ছাড়া পাবে না। দেশের মেয়েরা বিচার পাবেই।’’

কিন্তু এই মন্তব্যেও অস্বস্তি কাটল কই! উল্টে মাঝরাতের মিছিলের সাফল্যের পরে এ দিন ফের মোদীকে বিঁধে রাহুল টুইট করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, আপনার নীরবতা মেনে নেওয়া যায় না।’’ মোদী মুখ খোলার পরে নয়া প্রশ্ন তুলে তাঁকে বিঁধে রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, নীরবতা ভাঙার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি বলেছেন, আমাদের মেয়েরা সুবিচার পাবে। দেশ জানতে চায়, কবে?’’

Advertisement

জনরোষের আঁচ পেয়ে মোদী এ দিন সকালেই আসরে নামান দলকে। মহিলা নেত্রী মীনাক্ষি লেখি অসমের একটি ঘটনার উল্লেখ করে ধর্ষণের সঙ্গে ধর্মকে জুড়ে দিলে নয়া বিতর্ক বাধে। কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘‘বিজেপি ধর্ষণেও ধর্ম আনবে?’’

আসরে নেমে নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী মেনকা গাঁধী জানান, শিশু-কিশোরীর উপরে নির্যাতনের ঘটনায় আরও কড়া শাস্তির জন্য বদল হবে পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে। ১২ বছরের কম বয়সিদের ধর্ষণে দোষীদের ফাঁসির পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। কাঠুয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের কোনও চক্রান্ত নেই বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

আরও পড়ুন: ‘ওদের মৃত্যুই আমাদের শান্তি দেবে, ওটাই হবে একমাত্র সান্ত্বনা’

কাঠুয়া কাণ্ডে জম্মু-কাশ্মীরে জোট সরকারের শরিক তথা মন্ত্রী লাল সিংহ এবং চন্দ্র প্রকাশ গঙ্গা অভিযুক্তদের সমর্থন করায় তাঁদের ইস্তফা দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। সূত্রের খবর, দুই মন্ত্রী ইস্তফা না দিলে সরকার ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। এ নিয়ে আসরে নামে সঙ্ঘও। পরে রাতে ইস্তফা দেন দুই মন্ত্রীই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন