Narendra Modi

জি২০-র মঞ্চে গরিব দেশের হয়ে ব্যাট হাতে মোদী

বারাণসীতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির সামনে গরিব দেশগুলির অভাব-অভিযোগ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বারাণসীতে জি২০-র উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীদের তিন দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ ০৮:২৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

বারাণসীতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির সামনে গরিব দেশগুলির অভাব-অভিযোগ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

গত কাল থেকে বারাণসীতে জি২০-র উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীদের তিন দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ সেই বৈঠকে বারাণসীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করে ভিডিয়ো মাধ্যমে মোদী বলেছেন, “শতাব্দীর পর শতাব্দী কাশী বিশ্বের সংস্কৃতি, জ্ঞানচর্চা, আধ্যাত্মিকতা, আলোচনা ও বিতর্কের প্রাণকেন্দ্র হয়ে থেকেছে।” বিজেপির সৃষ্টি করা ‘বিশ্বগুরু’ ভাবমূর্তির বার্তা দিতে চেয়ে বিদেশি অতিথিদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে, তা গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান তিনি। অন্য দিকে, অনুন্নত দেশগুলির (গ্লোবাল সাউথ) হয়েও ব্যাট ধরতে দেখা গিয়েছে মোদীকে। তাঁর মতে, ভূকৌশলগত সংঘাতের ফলে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে গরিব দেশগুলির। মোদীর কথায়, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে। আমাদের চেষ্টা হওয়া উচিত সামগ্রিক ভাবে সবাইকে নিয়ে একজোটে এগনো।”

মোদী আজ কোভিড অতিমারির প্রসঙ্গও তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘অতিমারির ফলে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি, খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের সঙ্কট তৈরি হয়েছে ভূকৌশলগত সংঘাতের কারণে। সেটি আরও একটি ধাক্কা। ফলে জি২০ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিশ্বের কাছে জোরালো বার্তা যাওয়া চাই যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার মতো কৌশল ও নির্দেশিকা আমাদেরকাছে রয়েছে।”

Advertisement

পরিসংখ্যান নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে মোদীর মন্তব্য, “এই মুহূর্তে যে কোনও দেশের নীতি নির্ধারণ, গণপরিষেবা, সম্পদ বণ্টনের মতো বিষয়গুলির জন্য উন্নতমানের পরিসংখ্যান সঙ্গে থাকা জরুরি।” তাঁর কথায়, “দেশের বৃদ্ধির অনুঘটকের কাজ করে পরিসংখ্যান, এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে অসাম্য কমানো যাবে।”

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্থায়ী উন্নয়নের জন্য ৭ বছরের একটি কর্মসূচির কথা বলেছেন। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, “ঋণের দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কট, খাদ্য, জ্বালানি, সারেরউপর চাপ, বণ্টন ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা চাঙ্গা হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন