উপেক্ষার পর অবশেষে ট্রুডোকেও আলিঙ্গন

যদিও শেষ দিনেও ট্রুডোর ভারত সফর নিয়ে বিড়ম্বনা থেকেই গেল। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কানাডা সফরের সময়ে সে দেশের এক সাংবাদিক ‘মোদী সন্ত্রাসবাদী’ বলে আক্রমণ করেছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:৫৫
Share:

কাছাকাছি ট্রুডো ও মোদী। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: এপি।

এ দেশে আসা ইস্তক তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ ক’দিন আগেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে দৌড়েছিলেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সফরের শেষ ভাগে অবশেষে বরফ গলল। ট্রুডো ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মোদী। আলিঙ্গনও।

Advertisement

যদিও শেষ দিনেও ট্রুডোর ভারত সফর নিয়ে বিড়ম্বনা থেকেই গেল। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কানাডা সফরের সময়ে সে দেশের এক সাংবাদিক ‘মোদী সন্ত্রাসবাদী’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘মোদীকে এ দেশে স্বাগত নয়।’’ সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ট্রুডোর সঙ্গে ভারত সফরে আসা সাংবাদিক দলে রয়েছেন ‘অভিযুক্ত’ মানবীর সিংহ সাইনিও। গত কাল দিল্লিতে কানাডার হাই কমিশনার নাদির পটেলের আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ট্রুডোর গোটা সফরেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফলে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

Advertisement

দিল্লি-দর্শন: বাবা তখন ব্যস্ত। রাজঘাটে কার্পেটের উপর সটান শুয়ে পড়ল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ছোট ছেলে হেড্রিয়েন। ছবি: পিটিআই।

গত কালই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিদলে যশপাল অটওয়ালের উপস্থিতি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। খলিস্তানি জঙ্গি অটওয়াল ১৯৮৬তে পঞ্জাবের এক মন্ত্রীকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। হাই কমিশনার পটেল শেষ মুহূর্তে নিমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে অটওয়ালের নাম বাতিল করেন। কিন্তু সাইনি ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে, সে কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। যদিও তাঁর নামে ২০১৫ সালে মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার যে অভিযোগ, সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন সাইনি।

করমর্দন: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: রয়টার্স।

আজ সকালে দু’ঘণ্টা ব্যাপী ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদী বলেন, ‘‘এ দেশের সার্বভৌমত্ব ও একতাকে যারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে, তাদের সহ্য করা হবে না।’’ অনেকের মতে, ঘুরিয়ে এ বার্তা কানাডাকেই দিয়েছেন তিনি। ট্রুডো সরকার যে ভাবে খলিস্তান প্রসঙ্গকে লঘু করে দেখছে, দিল্লি যে সেটা ভাল চোখে দেখছে না, সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদী। ট্রুডোর গোটা সফরে যে ধরনের শীতলতা দেখিয়ে এসেছেন মোদী, সফরের শেষ পর্বে সেটা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই মোদী টুইট করেছিলেন, ‘‘আশা করি প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ভারত-সফর খুব ভাল কাটছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’’ আজ সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে সপরিবার ট্রুডোকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মোদী ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। দেখা হতেই ট্রুডোকে জড়িয়েও ধরেন মোদী। সন্ত্রাস মোকাবিলার পাশাপাশি বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রতিরক্ষার মতো বিযয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’দেশের। বিদ্যুৎক্ষেত্রে সহযোগিতা-সহ ছ’টি মৌ সই হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডোকলাম হাতে চায় চিন, অস্বস্তি ভারতের

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ দেখা করেছেন রাহুল গাঁধীও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন