INFOCOM 2023

মঙ্গলে সফল, ভিন্ গ্রহেও উড়বে কপ্টার 

এই যন্ত্র ব্যবহারের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন গৌতম। তিনি জানান, মঙ্গলের মাটিতে একাধিক রোভার বা রোবট গাড়ি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পৃথিবী থেকে রোভার নিয়ন্ত্রণ করা সময়সাপেক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৯
Share:

গৌতম চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।

মঙ্গলের মাটিতে সর্বশেষ অভিযানে পরীক্ষামূলক হেলিকপ্টার উড়িয়েছে নাসা। সেই পরীক্ষা সফল হওয়ায় এ বার ভবিষ্যতে ভিন গ্রহের অভিযানেও ওই বিশেষ হেলিকপ্টার নাসা ব্যবহার করতে চায়। শুক্রবার ২২তম ইনফোকমের মঞ্চে এ কথাই জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায়। তবে ভিন্‌ গ্রহের অভিযানে সেই হেলিকপ্টার কেমন, তাও এ দিন ছবিতে দেখিয়েছেন তিনি। পৃথিবীর মাটিতে যে হেলিকপ্টার ওড়ে, এ তেমন নয়। বরং অনেকটাই ড্রোনের মতো দেখতে।

Advertisement

এই যন্ত্র ব্যবহারের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন গৌতম। তিনি জানান, মঙ্গলের মাটিতে একাধিক রোভার বা রোবট গাড়ি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পৃথিবী থেকে রোভার নিয়ন্ত্রণ করা সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া, কোন দিকে গেলে রোভার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবে, তা-ও আগে থেকে বোঝা যায় না। তাই এই উড়ুক্কু যান ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় সমীক্ষা চালানো হয় এবং তা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রোভারকে নির্দিষ্ট দিকে পাঠানো হয়।

মঙ্গলের মাটিতে হেলিকপ্টার ওড়ানো যে যথেষ্ট কঠিন তাও জানিয়েছেন গৌতম। বলেছেন, পৃথিবীর মাটিতে হেলিকপ্টার ওড়াতে হলে তার পাখা যদি মিনিটে ৬০০ বার ঘোরানোর (আরপিএম) প্রয়োজন হয় তা হলে মঙ্গলে সেটি মিনিটে ৩ হাজার বার পাক খাওয়াতে হবে। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল পারসিভিয়ারেন্স রোভার থেকে প্রথম এই যান উড়িয়েছিল নাসা। ভাবা হয়েছিল, ৫-৬ বার ওড়ার পরেই তার দম ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রায় ৬৬টি বার উড়েছে সে। এখনও ওই কপ্টারের যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক কাজ করছে।

Advertisement

এই কপ্টার ছাড়াও নাসার ব্যবহৃত আরও কয়েকটি মহাকাশ-প্রযুক্তির কথা এ দিন বলেছেন গৌতম। তার মধ্যে অন্যতম পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা কোনও গ্রহাণুকে মহাকাশে ধাক্কা দিয়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রযুক্তি। কিছুটা ঠাট্টার ছলেই এ দিন তিনি বলেন, ‘‘গ্রহাণুর ধাক্কায় পৃথিবী ধ্বংস হবে, এমন ভুয়ো খবর প্রায়ই সোশাল মিডিয়ায়
ছড়ায়। তাতে আবার বলা থাকে, নাসা এ কথা জানিয়েছে। আমার অনেক বন্ধুও এ সব মেসেজ আমাকে পাঠিয়ে সত্যতা জানতে চায়। আমি বলছি, এ বার ওই ধরনের মেসেজ এলে মাথায় রাখবেন যে গ্রহাণুকে কক্ষচ্যুত করার প্রযুক্তি নাসার আছে।’’ এ সবের বাইরেও পৃথিবীতে জলের আবির্ভাব কিংবা ভিন গ্রহে প্রাণের সন্ধানে নাসা কী কী প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সে সবও বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন