National News

নাসিরুদ্দিনকে কালো পতাকা, দেশকে ভালবাসা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা? পাল্টা প্রশ্ন অভিনেতার

প্রবীণ অভিনেতার এই সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়ার পরই তাঁকে নিয়ে শুরু হয় ট্রোল। কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে আক্রমণ করতে শুরু করেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৩৬
Share:

অজমেঢ় সাহিত্য উৎসবে বক্তব্য রাখছেন নাসিরুদ্দিন শাহ্। ছবি: এএফপি

শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং নয়, এবার সরাসরি নাসিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখাল কট্টরপন্থীরা। রাজস্থানের অজমেঢ়ে তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি তাঁর কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। অন্যদিকে সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল, প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে এদিন ফের মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেতা। প্রশ্ন তুলেছেন, ‘দেশকে ভালবাসা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা?’

Advertisement

কয়েকদিন আগেই বিরাট কোহালির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তার পর বৃহস্পতিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসে। তাতে তিনি বলেন, আমার সন্তানদের নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায়। মত্ত জনতা যদি তাঁদের ঘিরে ধরে জিজ্ঞেস করে, তোমরা হিন্দু না মুসলিম, ওরা কোনও উত্তর দিতে পারবে না। আমার মনে হয় না, এই পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই উন্নতি হবে।’’ বুলন্দশহরের নাম না করেও বলেন, পুলিশ অফিসারের চেয়ে গরুর গুরুত্ব বেশি।

প্রবীণ অভিনেতার এই সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়ার পরই তাঁকে নিয়ে শুরু হয় ট্রোল। কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে আক্রমণ করতে শুরু করেন। ‘দেশদ্রোহী’, ‘দেশবিরোধী’ বলেও দেগে দেওয়া হয় তাঁকে। শুক্রবার রাজস্থানের অজমেঢ়ে সাহিত্য উৎসবে যোগ দেন নাসিরুদ্দিন। সেখানে তাঁকে কালো পতাকা দেখান কয়েকজন বিক্ষোভকারী। তাঁর কুশপুতুলও পোড়ানো হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: যে কোনও কম্পিউটারে চালানো যাবে নজরদারি, নয়া নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘আগে আমি যা বলেছিলাম, সেটা বলেছিলাম একজন সন্ত্রস্ত ভারতীয় হিসেবে। আর আজ যেটা বলছি, সেটা আমাকে দেশদ্রোহী বলার পর। যে দেশ আমার জন্মভূমি, যেখানে আমার বাড়ি, তাকে আমি ভালবাসি। সেই ভালবাসা কি অপরাধ হতে পারে?’’

‘‘নিজের দেশের সমালোচনা করলেই কি কেউ দেশদ্রোহী হয়ে যায়?’’, পাঠকদের উদ্দেশে ছুড়ে দিয়েছেন এই প্রশ্ন। ‘‘আমরা যে দেশ হিসেবে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছি এবং দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র তৈরির দিকে নিয়ে যাচ্ছি, সেটা নিয়ে মুখ খোলাতেই কি আমাকে এত আক্রমণ?

আরও পডু়ন: জাত-বিচার চলছেই, হনুমান এ বার হলেন জাঠ!

নাসিরুদ্দিন শাহ্‌র ভাই জমিরউদ্দিন শাহ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ছিলেন। অবসর নেওয়ার সময় ছিলেন ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ পদে। এ ছাড়া তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আবার তাঁর বাবাও স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন নাসিরুদ্দিন বলেন, যাঁর পরিবারের লোকজন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন, তাঁরা কেউ দেশদ্রোহী হতে পারে।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement