কাশ্মীর নিয়ে খোঁচা শিবসেনা ও ফারুকের

সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গিরা গুলি করে খুন করেছে টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান ইরফান আহমেদকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে সোমবার দলীয় মুখপত্রে সরকারকে আক্রমণ করেছে শিবসেনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই ও শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩০
Share:

ফারুক আবদুল্লা।

জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা কমেছে বলে দাবি নরেন্দ্র মোদী সরকারের। কিন্তু এ দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলল তাদেরই জোটসঙ্গী শিবসেনা। সেইসঙ্গে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাও।

Advertisement

সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গিরা গুলি করে খুন করেছে টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান ইরফান আহমেদকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে সোমবার দলীয় মুখপত্রে সরকারকে আক্রমণ করেছে শিবসেনা। তাদের বক্তব্য, ‘‘যাঁরা বলছেন কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ কমেছে, ইরফানের হত্যা তাঁদের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করছে।’’ শিবসেনার দাবি, এই ভাবে জওয়ানদের খুন করে ভূস্বর্গের তরুণদের মনে ভয় ধরাতে চাইছে জঙ্গিরা। এটাই জঙ্গিদের ‘নতুন পদ্ধতি’। নৃশংস ভাবে জওয়ানদের খুন করা নতুন ‘পাকিস্তানি ছক।’ এর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’-কে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘‘এগুলি সবই পাকিস্তানিদের মন কি বাত। যিনি মন কি বাত বলেন, তিনি কি সেটা বুঝতে পারছেন?’’

জোটসঙ্গী শিবসেনার সঙ্গে বিজেপি-র এই নরম-গরম সম্পর্ক নতুন কিছু নয়। সুযোগ পেলেই বিভিন্ন বিষয়ে বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়ে না উদ্ধব ঠাকরের দল। তা সে মোদীর ‘অচ্ছে দিনে’র প্রতিশ্রুতিই হোক বা উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা।

Advertisement

শুধু ইরফান খুন নয়, জঙ্গিদের হাতে খুন হওয়া তরুণ সেনা অফিসার উমর ফয়েজ এবং বিএসএফ জওয়ান মহম্মদ রমজান প্যারের কথাও বলা হয়েছে সামনায়। গৃহবন্দি দশা থেকে পাক জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদ মুক্তি পাওয়ার ফলেই কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে শিবসেনা। তাদের দাবি, ‘‘কেন্দ্র দাবি করছে, চলতি বছরে ১০০-১৫০ জন জঙ্গিকে মারা হয়েছে। কমেছে পাথর ছোড়ার ঘটনাও। কিন্তু ভূস্বর্গে তরুণদের হত্যা বন্ধ হয়নি। আসলে কাশ্মীরের তরুণরা সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশসেবা করছেন, এটা জঙ্গিরা হজম করতে পারছে না।’’ শিবসেনার পাশাপাশি কাশ্মীর নিয়ে খোঁচা দিয়ে ফারুক আবদুল্লার বক্তব্য, ‘‘বিজেপি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের পতাকা তোলার কথা বলছে। আগে তারা শ্রীনগরের লাল চক আর রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় ভারতের পতাকা তুলে দেখাক।’’

আজ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকে হরতাল পালিত হয়েছে কাশ্মীরে। স্থানীয় মানুষের হেনস্থার প্রতিবাদে হরতালের ডাক দিয়েছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ উমর ফারুক এবং জেকেএলএফ প্রধান ইয়াসিন মালিক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শ্রীনগরের সাতটি থানা এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাফেরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। কাশ্মীরে প্রায় সব এলাকাতেই বেশির ভাগ দোকান, পেট্রোল পাম্প এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রাস্তায় দেখা মেলেনি যানবাহনেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন