National Crime Records Bureau

পড়ুয়াদের আত্মহত্যা বেড়েছে মোদীর জমানায়! কমেছে সন্ত্রাসবাদী হামলা, দাবি শাহের মন্ত্রকের অপরাধ-রিপোর্টে

পড়ুয়াদের আত্মহত্যার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। পরের তিনটি স্থানে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। আত্মহত্যার ‘কারণ’ হিসাবে শীর্ষে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৫ ১১:২৯
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের এক দশকে (২০১৪-২৩) পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে! অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো’ (এনসিআরবি)-র অপরাধের বার্ষিক পরিসংখ্যান সংক্রান্ত রিপোর্টে উঠে এল সেই তথ্য। পাশাপাশি ওই রিপোর্ট বলছে, মোদীর এক দশকে দেশে জঙ্গি হামলা এবং ‘জিহাদি নাশকতা’র হার কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে।

Advertisement

এনসিআরবি-র রিপোর্ট বলছে, দেশে সামগ্রিক আত্মহত্যার ঘটনার ৮.১ শতাংশ পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ঘটে। এ ক্ষেত্রে শীর্ষে শ্রমিক এবং খেতমজুরেরা। ২০২২ এবং ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আত্মঘাতীদের মধ্যে ২১ শতাংশেরও বেশি দৈনিক পারিশ্রমিক নির্ভর শ্রমিক এবং খেতমজুর। ২০২২ সালে ভারতে ১৩০৪৪ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৩৮৯২। মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম বছরে, ২০১৪ সালে দেশে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ৮০৩২ জন পড়ুয়া। দেশের সামগ্রিক আত্মহত্যার নিরিখে ৬ শতাংশের সামান্য বেশি।

মহিলাদের আত্মহননের পরিসংখ্যান বলছে, এ ক্ষেত্রে শীর্ষে গৃহবধূরা। দ্বিতীয় স্থানে ছাত্রীরা। তৃতীয় স্থানে দৈনিক পারিশ্রমিক নির্ভর শ্রমিক এবং খেতমজুরেরা। পড়ুয়াদের আত্মহত্যার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। পরের তিনটি স্থানে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি দায়ী। এ ছাড়া রয়েছে পারিবারিক সমস্যা এবং দীর্ঘ অসুস্থতা। সামগ্রিক ভাবে ২০১৪-২৩-এ ভারতে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৪১৮টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

Advertisement

মোদীর দাবি ছিল, ২০২২ সালের মধ্যেই সন্ত্রাসমুক্ত হবে ভারত। তা না হলেও, জঙ্গিহানা এবং নাশকতার ঘটনায় যে অনেকটাই রাশ টানা সম্ভব হয়েছে, এনসিআরবি রিপোর্টে তা স্পষ্ট। ওই রিপোর্ট বলছে ২০২২ সালে দেশে মোট ৪৪৬টি জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছিল। ২০২৩-এ তা কমে হয়েছে ১৬৩টি! ২০২২ সালে ১২৬টি ‘জিহাদি হামলা’র ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০২৩-এ মাত্র ১৫টি। এ ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি হামলা ২৬ থেকে কমে হয়েছে ১০ (যদিও গত দু’বছরে ধারাবাহিক নাশকতার সাক্ষী হয়েছে মণিপুর)। ২০২২ সালে দেশে ২২৪টি মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটলেও ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ১২৪। সামগ্রিক ভাবে জঙ্গিহানায় রাশ টানা গিয়েছে ৬১ শতাংশেরও বেশি!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement