New Corona Strain

ফের নয়া স্ট্রেন, আক্রান্ত আরও ৪

করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেন চিন্তা বাড়ালেও দেশের সার্বিক কোভিড পরিস্থিতি মোটের উপর মোটের উপর নিয়ন্ত্রণে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:১৯
Share:

ছবি: পিটিআই।

দেশে আরও চার জনের দেহে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ এ কথা জানিয়েছে। এর ফলে ব্রিটেন থেকে আসা নতুন ধরনের করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা দেশে বেড়ে দাঁড়াল ২৯।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে আজ জানানো হয়েছে, যে চার জনের দেহে করোনার নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে তিন জন বেঙ্গালুরুর ও এক জন হায়দরাবাদের বাসিন্দা। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, নয়া করোনা স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে এমন ১০ জন ভর্তি রয়েছেন দিল্লির দু’টি চিকিৎসা কেন্দ্রে। পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক জন। পুণেতে পাঁচ জন, হায়দরাবাদে তিন জন এবং বেঙ্গালুরুরতে ১০ জনের চিকিৎসা চলছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২৯ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেন চিন্তা বাড়ালেও দেশের সার্বিক কোভিড পরিস্থিতি মোটের উপর মোটের উপর নিয়ন্ত্রণে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ২০ হাজারের সামান্য বেশি। ওই সময় করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২৫৬ জনের। মোট আক্রান্তের ৯৬ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও প্রতিদিনই কমছে। তবে মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় রেখেছে কেন্দ্রকে। দিল্লিতে সংক্রমণ কিছুটা কমায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত শয্যা কিছুটা কমিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার।

Advertisement

নতুন স্ট্রেন (ভিইউআই ২০২০১২/০১)

• এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়।

• সংক্রমণের হার প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি। তবে আগেরটির থেকে বেশি মারাত্মক নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

• মৃত্যুর হার একই রয়েছে।

• হাসপাতালে চিকিৎসাধীনের সংখ্যারও আগের থেকে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

• এর মধ্যে ‘স্পাইক’ প্রোটিনের জিনগত পরিবর্তন রয়েছে।

• এই স্ট্রেনেও ভ্যাকসিন কাজ করবে।

• এরকম জিনগত বদল হয়ে নতুন

• স্ট্রেন আসা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সেই নতুন স্ট্রেন কতটা মারাত্মক সেটা জানা দরকার।

• কিন্তু এমন ভাবে যদি নতুন নতুন স্ট্রেন আসতে থাকলে প্রতি বছর ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়া বদলাতে হতে পারে বলে অনুমান গবেষকদের।

• সেপ্টেম্বরের প্রথমের দিকে ব্রিটেনে প্রথম স্ট্রেনটি ধরা পরে।

• ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে লণ্ডনে এই স্ট্রেনটির ৬২ শতাংশ সংক্রমণ ধরা পড়ে।

ইতিমধ্যেই দেশের চার রাজ্যে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার সার্বিক মহড়া (ড্রাই রান)হয়েছে। এ বার আগামিকাল থেকে দেশ জুড়ে ওই কাজ শুরু হবে। চূড়ান্ত টিকাকরণ কর্মসূচির আগে রাজ্যগুলির পরিকাঠামোগত অবস্থা দেখে নিতে চাইছে কেন্দ্র। চূড়ান্ত পর্বের টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য ৯৬ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ৩০ কোটি দেশবাসীকে করোনা প্রতিষেধক প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই রাজ্যগুলির পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকেও প্রস্তুত রাখতে চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মহড়ায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকা পৌঁছনোর বিষয়ে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না-থাকা চিন্তার বিষয়। সেখানে যাতে সুষ্ঠু ভাবে প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়া যায়, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন