Faridabad Case

খুনের আগে মাদক খাইয়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেছিলেন শ্বশুর! গোপন করেন পুত্রের কাছেও, ফরিদাবাদ কাণ্ডে নতুন তথ্য

অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তরুণীর উপরে অত্যাচার চলছিল। গত এপ্রিল মাস থেকে তাঁর খোঁজ মেলেনি। বধূর স্বামী এবং তাঁর পরিবার দাবি করেন, তিনি পালিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫ ১৫:৩৭
Share:

ফরিদাবাদে এই রাস্তায় পুঁতে রাখা হয়েছিল তরুণীর দেহ। ছবি: সংগৃহীত।

২৪ বছরের পুত্রবধূকে খুনের আগে ধর্ষণ করেছিলেন বৃদ্ধ! ফরিদাবাদ কাণ্ডের তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে জেরা করে এমন তথ্যই পেয়েছে পুলিশ। বৃদ্ধ জেরায় ধর্ষণ এবং খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি এ-ও দাবি করেছেন যে, তরুণীকে ধর্ষণের কথা নিজের পুত্র এবং স্ত্রীর কাছে গোপন করে গিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিলে এই কাণ্ড হয়েছিল। তার পরে স্বামী এবং তাঁর পরিবার দাবি করেছিলেন, তরুণী পালিয়ে গিয়েছেন। অভিযোগ, ওই তরুণীকে খুনের পরে বাড়ির সামনের গলিতে দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে দেহ উদ্ধারের পরেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

তরুণী ফিরোজ়াবাদের শিকোহাবাদের বাসিন্দা। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ফরিদাবাদের ওই তরুণের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তরুণীর উপরে অত্যাচার চলছিল। গত এপ্রিল মাস থেকে তাঁর খোঁজ মেলেনি। বধূর স্বামী এবং তাঁর পরিবার দাবি করেন, তিনি পালিয়ে গিয়েছেন। ২১ জুন তরুণীর শ্বশুরবাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় দেহ। প্রায় ১০ ফুট গভীর গর্ত খনন করে দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তরুণীর শ্বশুর। তিনি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় বৃদ্ধ দাবি করেছেন, গত ১৪ এপ্রিল তরুণীকে খুনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন তাঁরা। তার পরেই তরুণীর শাশুড়িকে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে বিয়ের নিমন্ত্রণ ছিল তাঁদের। অজুহাত (অ্যালিবাই) তৈরি করতেই নিজের স্ত্রীকে ইটাওয়াতে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বৃদ্ধ। ২১ এপ্রিল খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তরুণীকে খাইয়েছিলেন তাঁর স্বামী। তাঁর ননদকেও ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বৃদ্ধ জেরায় পুলিশকে জানিয়েছেন, গভীর রাতে পুত্রবধূকে খুনের জন্য তাঁর ঘরে প্রবেশ করেছিলেন। সেখানে অচেতন তরুণীকে ধর্ষণের পরে খুন করেন তিনি। তার পরে নিজের পুত্রকে সেই ঘরে ডেকে পাঠান। এর পরে পিতা-পুত্র মিলে তরুণীর দেহ সামনের গলিতে গর্ত খনন করে সেখানে ফেলে দেন। তার পরে তার উপর মাটি ফেলে ঢালাই করে দেন। স্থানীয়েরা ভেবেছিলেন, নিকাশি ব্যবস্থার জন্যই গলির রাস্তা খনন করা হয়েছে। অভিযুক্তেরা তেমনই দাবি করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

Advertisement

বৃদ্ধ থানায় অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, তাঁর পুত্রবধূ নিখোঁজ। অবশেষে ২১ জুন তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement