হাফলঙ হ্রদ বাঁচাতে তৎপর শহরবাসী

ডিমা হাসাও জেলায় পর্যটকদের বড় আকর্ষণ হাফলঙ হ্রদ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শহরে জলকষ্ট দূর করতে ব্রিটিশরা হাফলঙ শহরের কেন্দ্রে সেটি তৈরি করেছিলেন। এখন পাহাড়ি শহরে পর্যটকরা তেমন ভাবে ভিড় জমান না। হ্রদও তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। এক দিকে জবরদখল হয়ে সেখানে দালানবাড়ি তৈরি হচ্ছে। অন্য দিকে হ্রদের তীরে জঞ্জালের পাহাড়। নিরাপত্তা কার্যত নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩০
Share:

ডিমা হাসাও জেলায় পর্যটকদের বড় আকর্ষণ হাফলঙ হ্রদ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শহরে জলকষ্ট দূর করতে ব্রিটিশরা হাফলঙ শহরের কেন্দ্রে সেটি তৈরি করেছিলেন। এখন পাহাড়ি শহরে পর্যটকরা তেমন ভাবে ভিড় জমান না। হ্রদও তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। এক দিকে জবরদখল হয়ে সেখানে দালানবাড়ি তৈরি হচ্ছে। অন্য দিকে হ্রদের তীরে জঞ্জালের পাহাড়। নিরাপত্তা কার্যত নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সূর্য ডুবতে না ডুবতেই গোটা এলাকা চলে যায় মদ্যপদের দখলে। নগর কমিটি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোনও হেলদোল ছিল না বলে ক্ষুব্ধ ছিলেন শহরের বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে মহিলা পরিচালিত দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা— ‘মেক আ ডিফারেন্স’ ও ‘সেভ আওয়ার লেক’। তারা আয়োজন করে ‘হ্রদ বাঁচাও সপ্তাহের’। ওই উদ্যোগ দেখে এগিয়েছে কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা— পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ, জেলা প্রশাসন, নগর কমিটি, পুলিশ বিভাগ, আসাম রাইফেলস ও গোর্খা রেজিমেন্ট। ২১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘হ্রদ বাঁচাও সপ্তাহের’ সূচনা হয়। স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য দেবজিৎ থাওসেন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘হাফলং হ্রদ এই অঞ্চলের গর্ব। একে দূষণমুক্ত করতে হবে।’’ তিনি এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা চান। দেবজিৎবাবু বলেন, ‘‘হ্রদ বাঁচানোর মতোই ডিমা হাসাওয়ের বিভিন্ন জায়গায় এ ভাবেই সাধারণ মানুষকে উদ্যোগী হতে হবে। তা হলে আগের মতো এখানে আসবেন পর্যটকরা।

Advertisement

স্থানীয় মহিলাদের প্রয়াস দেখে এ বার আরও মানুষ এই কাজে এগিয়ে আসছেন। আজ হ্রদকে পরিষ্কার করতে ডিমা হাসাও জেলা পুলিশের দল অভিযান করে। তাদের নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার জি ভি শিবপ্রসাদ। সঙ্গে ছিলেন দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২০-২৫ জন সদস্যও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement