সুড়ঙ্গ-পথ: জাটিহার কাছে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে টানেলের নির্মাণকাজ শেষের পথে। ছবি: বিল্পব দেব
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর চাপে এ বার শিলচর-সৌরাষ্ট্র ‘ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর’ নির্মাণে গতি আনতে উদ্যোগী হল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এনএইচএআই)। মন্ত্রীর নির্দেশেই এনএইচএআইয়ের প্রোজেক্ট ইমপ্লিমেন্ট ইউনিট অফিস খোলা হচ্ছে হাফলং শহরে। মন্ত্রীর নির্দেশ, শিলচরের অফিসে বসে নয়, এই ইউনিটে বসেই কাজ করতে হবে তাঁদের। তাঁদের থাকতেও হবে হাফলঙেই।
এরই পাশাপাশি, গডকড়ী অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে একটি চিঠি দিয়ে ডিমা হাসাও জেলায় চলতে থাকা হাইওয়ের কাজে নিযুক্ত নির্মাণ সংস্থা ও এনএইচএআই কর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছেন। কোনও পদস্থ পুলিশ কর্তাকে এই নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখার অনুরোধও গডকড়ী মুখ্যমন্ত্রীকে করেছেন।
১৯৯৮ সালে শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের শিলান্যাস হওয়ার পর ডিমা হাসাও জেলায় নিরাপত্তাজনিত কারণে থমকে যায় কাজ। সমস্যা ছিল জমি অধিগ্রহণ ও ভূতাত্ত্বিক জটিলতাও। এ ছাড়া, বন ও পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্রের না পাওয়াও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে ডিমা হাসাও জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভাল। জঙ্গি সমস্যাও নেই। জমি অধিগ্রহণ সমস্যার সিংহভাগই মিটে গিয়েছে। তারপরেও হাইওয়ে নির্মাণের কাজ এগোচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতেই কেন্দ্র এনএইচএআইয়ের উপর চাপ তৈরি করল। কেন্দ্রের চাপের মুখে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যও ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করে গিয়েছেন। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের এএস-২৪, এএস-২৫, এবং এএস-২৬ প্যাকেজের কাজ শেষ করার সময়সীমা ছিল যথাক্রমে ২০১৩-১৪ সালে। এর মধ্যে আবার এএস-২৫ প্যাকেজ, জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থাকে বাতিল করার কারণে। জানা গিয়েছে, ওই অংশের কাজের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে।