নিঠারি-কাণ্ডে দোষী পান্ধের ও কোহালি

নিঠারিতে ২০০৬ সালে পান্ধেরের বাড়ি থেকে বহু কঙ্কাল ও দেহাবশেষ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেশ কিছু শিশু, কিশোর-কিশোরীর ওপর যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় পান্ধের ও কোহালি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গাজিয়াবাদ শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৩:৪৯
Share:

অপরাধী: সিবিআই আদালতের বাইরে মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের। শনিবার গাজিয়াবাদে। ছবি: পিটিআই।

পিঙ্কি সরকার হত্যা মামলায় নয়ডার নিঠারির ব্যবসায়ী মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের ও তার পরিচারক সুরেন্দ্র কোহালি দু’জনকেই দোষী সাব্যস্ত করলেন গাজিয়াবাদের সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারক পবন তিওয়ারি। দু’জনেরই শাস্তি ঘোষণা হবে সোমবার।

Advertisement

নিঠারিতে ২০০৬ সালে পান্ধেরের বাড়ি থেকে বহু কঙ্কাল ও দেহাবশেষ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেশ কিছু শিশু, কিশোর-কিশোরীর ওপর যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় পান্ধের ও কোহালি। এই কুখ্যাত নিঠারি হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৬টা মামলার ফয়সালা হয়েছে। তার মধ্যে ৭টায় সিবিআই আদালত সুরেন্দ্রের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। তবে, মণীন্দ্র এই মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছিল। শনিবার, শেষ নির্যাতিতা পিঙ্কি সরকার খুনের মামলায় আদালতের অপরাধী প্রমাণিত হওয়ার পরই তাকে আবার জেলে ঢোকানো হয়েছে।

পিঙ্কি সরকারের খুনে সিবিআই তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০ বছর বয়সি বাঙালি মেয়েটি মণীন্দ্রের বাড়িতে পরিচারিকার কাজে ঢুকেছিল। তাকে শারীরিক নির্যাতন করে খুন করা হয়। সুরেন্দ্র দোতলার কলঘরে তার দেহ হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে ছুরি দিয়ে মাথা কেটে, জামাকাপড় ছিঁড়ে সেগুলো বাইরে ফেলে দেয়। তার পর বাকি দেহ প্রেশার কুকারে রান্না করে খেয়ে নেয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার এত কম গোলাবারুদ? ক্যাগ রিপোর্ট ঘিরে উদ্বেগ

২০০৭-এর এপ্রিলে মৃত মেয়ের জামাকাপড় শনাক্ত করেন তার বাবা-মা। পরে সুরেন্দ্র নিজেই পিঙ্কির চটিজোড়াও শনাক্ত করে। সে নিজেই অন্য মামলাগুলিতেও শিশুদের ধর্ষণ, খুন ও খেয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিল।

হতভাগ্য শিশুগুলিকে এ ভাবেই ভুলিয়েভালিয়ে পান্ধেরের বাড়িতে নিয়ে আসা হতো। তার পর তাদের নির্যাতন করে খেয়ে ফেলা হত। মণীন্দ্র এর আগে একটি মামলায় বিচার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেও উচ্চ আদালতে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে এখনও আরও তিনটি মামলা ঝুলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন