গাঁটের জোরে অমিত শাহদের পাল্লা দেওয়া মুশকিল, তা নীতীশ-লালু-কংগ্রেসের কাছে আগে থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে! এ বার তাই শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এনডিএকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছেন তাঁরা।
বিহারে এনডিএ-র শরিক জিতনরাম মাঁঝির ছোট ছেলের বিরুদ্ধে হিসেব বর্হিভূত টাকা রাখার মামলা করেছে পুলিশ। তার পর আজ নীতীশদের জোটের নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, ভোটের দিকে তাকিয়ে সরকারি ব্যবস্থার অপব্যবহার ও দেদার টাকা খরচ করছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের সরকারই আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে!
বিহারে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয় ৯ তারিখ। নীতীশ-লালুর অভিযোগ, তার পরে পটনা থেকে বিশেষ ট্রেন বোঝাই করে বিজেপি লোক নিয়ে গিয়েছে ভোপাল, মুম্বই, জয়পুর ও রায়পুরে। উদ্দেশ্য ছিল, বিজেপি শাসিত রাজ্যের উন্নয়ন দেখানো। কিন্তু এই কর্মসূচির জন্য রেল মন্ত্রক ১৮ কোচের এক একটি ট্রেন ভাড়া দিয়েছে ৬০ শতাংশ ভর্তুকিতে। আবার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাস ও হোটেল ভাড়া করে এদের রাখা হয়েছে। দু’দিন ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়েছে। নীতীশদের অভিযোগ, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নামে ট্রেন, বাস ও হোটেল ভাড়া করা হলেও নেপথ্যে রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। নীতীশদের প্রশ্ন, ভোটের দিন ঘোষণার পর সরকারি খরচে কী ভাবে এটা করতে পারে বিজেপি? রেল মন্ত্রক কেন ৬০ শতাংশ ভাড়া ছাড় দিল?
এ নিয়ে আজ দিল্লিতে কংগ্রেস, সংযুক্ত জনতা দল ও আরজেডি-র নেতারা সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে নিয়ে আসা হয় বিশিষ্ট আইনজীবী কে টি এস তুলসীকে। তিনি বলেন, ‘‘যে ঘটনা ঘটেছে তা ঘুষ দেওয়ার নামান্তর।’’ তুলসীর বক্তব্য, বিজেপি দলগত ভাবে এটা করতেই পারে! কিন্তু তা করতে গিয়ে কেন সরকারি ব্যবস্থার অপব্যবহার হচ্ছে? বিজেপির তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিহারের মানুষের চোখ খুলে দিতে কিছু লোককে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের কাজ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল।