প্রধানমন্ত্রীর পদে না থাকলে নরেন্দ্র মোদীকে তিনি ওই ‘খোলা চিঠি’ লিখতেন না বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর বক্তব্য, ওই পদে যিনি বসে আছেন তাঁর মুখে ডিএনএ-মন্তব্য মানায় না। শুধু নরেন্দ্র মোদী হলে তিনি বিষয়টি উপেক্ষা করতেন। পাশাপাশি মোদীর পক্ষ নিয়ে যে এনডিএ নেতারা তাঁকে পাল্টা-আক্রমণ করেছেন তাঁদের এক হাত নিয়েছেন তিনি।
আজ পটনা শহরের শ্রীকৃষ্ণপুরীতে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সত্যেন্দ্র নারায়ণ সিংহের মূর্তি স্থাপনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘মোদী প্রধানমন্ত্রীর পদে না থাকলে ওই বক্তব্য নিয়ে ভাবতাম না। কিন্তু আমি বিহারের ভূমিপুত্র। বিহারই আমার মা। আমাকে অপমান করে তিনি আসলে বিহারকেই অপমান করেছেন। তাই প্রতিবাদ করেছি। তাঁর মন্তব্য ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।’’
‘বিহারি-অস্মিতা’কে সামনে রেখেই নির্বাচনে লড়তে চলেছেন নীতীশ কুমার। তাঁর কথায়, ‘‘বিহারের সমস্ত গুণ আমার ডিএনএ-তে রয়েছে। আর সেই ডিএনএ সব বিহারিদের মধ্যে আছে।’’ ২৫ জুলাই বিহারের মুজফফরপুরে এনডিএ-র সভায় প্রধানমন্ত্রী বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। নীতীশ কুমারের ‘ডিএনএ’ খারাপ বলেন তিনি। মোদীর সেই শব্দ প্রয়োগকে ‘অপমানসূচক’ বলে আখ্যা দিয়ে তাঁকেই ‘খোলা চিঠি’ দিয়েছেন নীতীশ। নীতীশ কুমারের চিঠির পাল্টা-জবাব গত কালই দেন বিজেপি তথা এনডিএ নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘বিকৃত’ করার জন্য নীতীশ কুমারকে ক্ষমা চাইতেও বলেছেন তাঁরা।
এ নিয়ে নীতীশ বলেন, ‘‘যখন বিজেপির সঙ্গে ছিলাম, তখন এঁরাই আমার মধ্যে ‘পিএম মেটেরিয়াল’ দেখতেন। জোট ছাড়তেই আমার মধ্যে সমস্ত কিছু খারাপ হয়ে গিয়েছে!’’