ফের জিতবেন মোদীই, দৃঢ় বিশ্বাস নীতীশের

নীতীশের মন্তব্যের পরপরই বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব টুইটে লিখলেন— ‘মোদীজি, আন্তরিক অভিনন্দন। আপনার ভক্তের সারিতে আরও এক নতমস্তক শিষ্যকে পেলেন।’

Advertisement

দিবাকর রায়

পটনা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৫
Share:

নীতীশ কুমার

নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলা করার ক্ষমতা নেই কারও— বিরোধীদের দিকে কার্যত এমনই ভাষায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন নীতীশ কুমার। আজ সাংবাদিক বৈঠকে একই সঙ্গে দাবি করলেন, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদী-ই।

Advertisement

নীতীশের মন্তব্যের পরপরই বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব টুইটে লিখলেন— ‘মোদীজি, আন্তরিক অভিনন্দন। আপনার ভক্তের সারিতে আরও এক নতমস্তক শিষ্যকে পেলেন।’

আরও পড়ুন: চার বছরে ওল্টালো পাশা, মোদী বন্দনা নীতীশের গলায়!

Advertisement

২০১৪-র লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে তুলে ধরায় এনডিএ-এর সঙ্গ ছেড়েছিলেন নীতীশ। নিয়মিত মোদীর দিকে তোপ দাগতেন তিনি। ২০১৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে দুই নেতা পরস্পরের প্রতি আক্রমণ তীব্র করেন। নীতীশের ‘ডিএনএ’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মোদী। বিহারবাসী তাতে অপমানিত হয়েছেন বলে দাবি করে রাজ্যের অনেকের চুল, নখ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠান নীতীশ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘মাটিতে মিশে যাব, কিন্তু বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাব না।’’ কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর থেকে দুই নেতার দূরত্ব কমতে থাকে। এ দিন নীতীশের কথায় স্পষ্ট, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে এনডিএ জোটের নেতা হিসেবে তিনি মেনে নিলেন। ‘মাটিতে মিশে যাওয়ার’ প্রশ্নে এ দিন নীতীশ বলেন, ‘‘এগুলো বড় বিষয় নয়। সব অতীত।’’ তিনি জানান, উপরাষ্ট্রপতি ভোটে জেডিইউ গোপালকৃষ্ণ গাঁধীকেই সমর্থন করবে। কারণ তিনি এ নিয়ে কথা দিয়ে দিয়েছেন। বিজেপিরও এতে আপত্তি নেই।

সরকারি ভাবে এখনও এনডিএতে যোগ দেয়নি জেডিইউ। দলীয় সূত্রে খবর, ১৯ অগস্ট পটনায় জেডিইউয়ের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হবে। সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকারে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে জেডিইউ।

নীতীশ-ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, শরদ যাদবকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করতে চান না তিনি। কেন্দ্রে কোনও বড় মন্ত্রক নিতেও ইচ্ছুক নন নীতীশ। বিহারের প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্য নিয়ে নীতীশকে চিঠি লিখেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আপাতত বিহারের জন্য মোদী সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ বাড়িয়ে উন্নয়নের কাজে গতি আনতে চান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এ ভাবেই লালুপ্রসাদ-কংগ্রেসকে জবাব দিতে চান। আগামী লোকসভা ভোটের আগে জনভিত্তি আরও মজবুত করাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন