নীতীশ কুমার।—ফাইল চিত্র।
লালুপ্রসাদের ‘বিজেপি হঠাও’ সমাবেশের দিন ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজ হাতে নিয়ে বিহারের নজর টানতে চান নীতীশ কুমার।
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের উন্নয়নে ওই প্যাকেজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিজেপির পরাজয়ের জেরে মেলেনি টাকা। লালু-কংগ্রেসের মহাজোট ছেড়ে ফের বিজেপিকে শরিক করে সরকার গড়েছেন নীতীশ। তা-ই ভোটের ২১ মাস পর কেন্দ্রের মোদী সরকার প্রতিশ্রুতির টাকা দিয়ে বিহারের মন জিততে চাইছে।
বিজেপি ও জেডিইউ শিবিরের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে ২৭ অগস্ট নয়াদিল্লি যাবেন নীতীশ। সে দিনই পটনার গাঁধী ময়দানে ‘বিজেপি হঠাও’ সমাবেশ করবেন আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ। সেখানে সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের তাবড় বিরোধী নেতার হাজির থাকার কথা। বিজেপি নেতাদের একাংশের বক্তব্য, সমাবেশের রং ফিকে করতে চান মোদী-নীতীশ। তা-ই সে দিনই বিহারকে প্যাকেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
জেডিইউয়ের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী এ দিন জানিয়েছেন, তাঁরা এনডিএ-তে যোগ দেবেন। ১৯ অগস্ট দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজেপি সূত্রে খবর, এনডিএ-র আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিতে পারেন নীতীশ। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ তাঁকে ওই অনুরোধ করেছেন। প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন জেডিইউ সভাপতি। দলের কর্মসমিতির বৈঠকে তা পাশ করিয়ে নিতে চান তিনি।
এ দিকে দলের নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামী কাল অনুগামীদের নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছেন জেডিইউ সাংসদ শরদ যাদব। সমস্ত বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জেডিইউ শরদকে সম্মেলন না করার নির্দেশ দিয়েছে। জেডিইউ অন্দরমহলের খবর, তা না মানলে শরদকে সাসপেন্ড করা হতে পারে। রাজনৈতিক শিবিরে কানাঘুষো, কেন্দ্রে জেডিইউ যোগ দিলে দু’জনকে মন্ত্রী করা হতে পারে। সেই তালিকায় শরদের স্থান নেই।