অনাস্থা প্রত্যাহার, রইলেন মুকুলই

চুয়াল্লিশ বনাম ষোলোর অসম লড়াইয়ে জয় কার্যত অসম্ভব জেনেও ‘এ বার, নয় নেভার’ মনোভাব নিয়েই ফের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘মেঘালয় ইউনাইটেড অ্যালায়েন্স’ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল মেঘালয়ের তিন বিরোধী দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৭
Share:

চুয়াল্লিশ বনাম ষোলোর অসম লড়াইয়ে জয় কার্যত অসম্ভব জেনেও ‘এ বার, নয় নেভার’ মনোভাব নিয়েই ফের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘মেঘালয় ইউনাইটেড অ্যালায়েন্স’ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল মেঘালয়ের তিন বিরোধী দল। কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করে শাসক জোটের বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসী ও নির্দল বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টাও হয়েছিল বিস্তর। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না এবারও। আস্থা ভোটে প্রত্যাশিত ভাবেই রয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। তাঁর ভাষণের পরে, অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে বিরোধীরা। রাতেও চলে অধিবেশন।

Advertisement

মেঘালয়ের ৬০ সদস্যের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকারকে নিয়ে ৪৪ জন এমইউএ জোটের সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জন কংগ্রেসের, দু’জন এনসিপি, এক জন এনইএসডিপি ও ১১ জন নির্দল বিধায়ক। বিরোধীদের মধ্যে ইউডিপির বিধায়ক ৮, এইচএসপিডিপি-র ৪, দুই নির্দল ও এনপিপির ২ বিধায়ক রয়েছেন। এর আগে ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মুকুল সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলেও সে বারও জিতে যান মুকুল। গত বছর ২৫ মার্চ স্পিকারের বিরুদ্ধেও অনাস্থা তোলা হয়। ধ্বনি ভোটে জিতে যান মণ্ডল। আগামী কাল তাঁর বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।

মুকুল মেনে নেন, সরকারের দ্বারস্থ হওয়া আম জনতার বিভিন্ন দাবি পূরণ করতে সফল হয়নি সরকার। তবে জয়ের পরে মুকুল বলেন, ‘‘আমরা যা করেছি মানুষের ভালর জন্য করেছি। আমাদের বিধায়কদের মধ্যেও একতা আছে। তাই সরকার থাকবে জানতাম।’’ তাঁর মতে, রাজ্যে বিভিন্ন কারণে স্থিতিশীলতা আসছে না, সব বিধায়কের উচিত ক্ষমতার খেলায় না নেমে, রাজ্যকে স্থিতিশীল করতে মুখ্যমন্ত্রীর হাত শক্ত করা।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সালসেং মারাক মেনে নেন, কংগ্রেসে মতানৈক্য রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বদলের আর্জিও জমা পড়েছে হাইকম্যান্ডের কাছে। কিন্তু তাঁর কথায়, ‘‘নেতৃত্ব পরিবর্তন বা মতানৈক্য যা আছে- তা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হওয়া ঠিক নয়। আমরা কখনওই সরকার ফেলতে চাইনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন