লখনউয়ে মেলেনি আইএস যোগসূত্র

লখনউয়ে নিহত জঙ্গির সঙ্গে সিরিয়া ও ইরাকের ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) জঙ্গিদের সরাসরি কোনও যোগসূত্র এখনও পাননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৬
Share:

লখনউয়ে নিহত জঙ্গির সঙ্গে সিরিয়া ও ইরাকের ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) জঙ্গিদের সরাসরি কোনও যোগসূত্র এখনও পাননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মধ্যপ্রদেশে ট্রেনে বিস্ফোরণের জেরে লখনউয়ে দুই জঙ্গির খোঁজে নেমেছিল দুই রাজ্যের পুলিশ ও জঙ্গি দমন শাখা। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ঘটনাকে দেশের প্রথম আইএস জঙ্গি হানা বলে দাবি করেছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনই তা মানতে নারাজ।

Advertisement

দেশের সব ক’টি গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয় কমিটি মাল্টি এজেন্সি সেন্টার বা ম্যাক-এর বৈঠকে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে, তাতে লখনউয়ের নিহত জঙ্গি সাইফুল্লার সঙ্গে সিরিয়ার কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সরাসরি যোগের প্রমাণ মেলেনি। এই বিশ্লেষণ নর্থ ব্লকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগে জানানোর পরই ঠিক হয় কেন্দ্র এখনই এই ঘটনার সঙ্গে আইএস-এর যোগসূত্র দাবি করবে না। সেই মতো সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বক্তৃতা তৈরি হয়। তাতে আইএস-এর কোনও উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এ দিন সংসদে নিজের ঘরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘এই ঘটনার পিছনে আইএস ছিল, এখনও তার কোনও পাথুরে প্রমাণ মেলেনি। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) ঘটনার তদন্ত করবে।’’

মন্ত্রক সূত্রের খবর, ৭ মার্চ মধ্যপ্রদেশের জাবরি স্টেশনের কাছে ভোপাল-উজ্জয়িনী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিস্ফোরণে ৯ জন আহত হন। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের জঙ্গিদমন শাখা দাবি করে— এই বিস্ফোরণ দেশের প্রথম আইএস জঙ্গি হামলা। ইন্দৌরের কাছে খোরাসান মডিউল এই কাজ করেছে। এরই জেরে টানা ১২ ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের পরে লখনউয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে মারা যায় সাইফুল্লা। কানপুর থেকে ধরা প়ড়ে মহম্মদ ফয়সল খান, মহম্মদ ইমরান, দানিশ। এটাওয়া থেকে ধরা হয় আতিক নামে এক সন্দেহভাজনকে।

Advertisement

এর পরেই দেশের সব ক’টি নিরাপত্তা এজেন্সি এই ঘটনার নেপথ্য শক্তি কারা, তা নিয়ে তথ্য সন্ধানে নামে। প্রাথমিক ভাবে আইএস-যোগ না মিললেও দেশি বা বিদেশি বিভিন্ন ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীর মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে এরা উগ্রপন্থার পথ বেছে নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন