দোষীর সাস্তির দাবি। ফাইল চিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গেল জম্মু-কাশ্মীরের সুম্বলে নির্যাতিতা বালিকার মেডিক্যাল রিপোর্ট। তা যে আসল ‘রিপোর্ট’ মেনে নিয়েছেন শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের চিকিৎসকেরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, বালিকার উপরে যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
চলতি মাসের গোড়ায় সুম্বলে তিন বছরের বালিকার ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয় কাশ্মীর। তাহির আহমেদ মির নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু জম্মুতে নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার মতো এই ঘটনার জেরেও জম্মু-কাশ্মীরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। রাস্তায় নামেন স্কুল-কলেজের পড়ুয়া-সহ হাজার হাজার মানুষ। বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন এক যুবক। ধর্মগুরুদের কমিটির অনুরোধে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। গত সপ্তাহে পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। চার্জশিটও পেশ করা হয়।
কিন্তু এ দিনের ঘটনা ফের উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট ভাইরাল হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, সুম্বলের নির্যাতিতার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। যৌন নির্যাতনের কোনও মেডিক্যাল প্রমাণও মেলেনি। পরে শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের চিকিৎসকেরা মেনে নেন, আসল রিপোর্টই ফাঁস হয়েছে। রিপোর্ট ফাঁস নিয়ে ওই হাসপাতালের অধিকর্তাকে নোটিস পাঠিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট।