সৌজন্যের বালাই নেই, দিনভর আকচা আকচি কং-বিজেপি’র

সারা দিন আকচা আকচিতেই কাটিয়ে দিল দেশের দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। সৌজন্যের সীমা বার বার অতিক্রম করে পরস্পরকে ব্যক্তিগত আক্রমণে মেতে উঠলেন দুই দলের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিজের মাকে নিয়ে মিথ্যা বলার অভিযোগ করল কংগ্রেস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ২১:২৬
Share:

সারা দিন আকচা আকচিতেই কাটিয়ে দিল দেশের দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। সৌজন্যের সীমা বার বার অতিক্রম করে পরস্পরকে ব্যক্তিগত আক্রমণে মেতে উঠলেন দুই দলের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিজের মাকে নিয়ে মিথ্যা বলার অভিযোগ করল কংগ্রেস। পাল্টা অসৌজন্যে বিজেপি’র মন্তব্য, রাহুলকে নষ্ট করেছেন তাঁর মা। এ বার দেশকে নষ্ট করছেন।

Advertisement

সোমবার আমেরিকার সান হোসেতে প্রবাসী ভারতীয়দের জমায়েতে নরেন্দ্র মোদী নাম না করে সনিয়া গাঁধীর জামাইকে কটাক্ষ করেন। ভারতে ইউপিএ জমানায় প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকাতে দাঁড়িয়েই মন্তব্য করেন। বলেন, কারও জামাই হাজার কোটি কামিয়ে নিয়েছে।

সোমবার কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র সমালেচনা করে। বিদেশ সফরে গিয়ে দেশের বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করা অসৌজন্য মূলক বলে কংগ্রেস মন্তব্য করে। এমন ঘটনা ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী আগে ঘটাননি বলেও দাবি করে ২৪ আকবর রোড। কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মাও নরেন্দ্র মোদীর পারিবারিক ইতিহাস টেনে আক্রমণে নামেন। ফেসবুক সদর দফতরে মোদী বলেছিলেন, তাঁর মাকে এক সময় পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতে হয়েছে। আনন্দ শর্মা সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন। তাঁর মা কখনও পরিচারিকার কাজ করেননি। মোদী নিজেও কখনও স্টেশনে চা বিক্রি করেননি বলে শর্মা দাবি করেন। ‘সস্তা জনপ্রিয়তা’ কুড়োতে মোদীর এই মিথ্যাচার বলে কংগ্রেসের দাবি।

Advertisement

আনন্দ শর্মার সাংবাদিক বৈঠকের পর বিজেপি ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে। সনিয়া ও রাহুলকে তীব্র আক্রমণ করেন সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র এম জে আকবর। তিনি বলেন, “সনিয়া নিজের ছেলেকে শেষ করেছেন। এ বার তিনি দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন।” রাহুল কেন এখন দেশের বাইরে, তিনি কী কাজে আমেরিকা গিয়েছেন, তার ব্যাখ্যাও চান আকবর। কংগ্রেসের জবাব, রাহুল যদি ছুটি কাটাতেও বিদেশ যান, তা হলেও নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহর থেকে তাঁর অনুমতি নেওয়ার দরকার হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন