জলযাত্রা। টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন মুম্বইয়ের রেললাইন। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই
গত কাল থেকে প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত মুম্বই। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে শহরের নিচু এলাকাগুলি। লাগাতার বৃষ্টিতে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবাও। গত কাল বিকেলে মুম্বইয়ের গোভান্দি এলাকায় দেওয়াল ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। গুরুতর জখম হয়েছেন এক মহিলা। আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, বৃষ্টির জন্য প্রায় সমস্ত ট্রেন দেরিতে চলছে। অগস্ট ক্রান্তি রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ বেশ কিছু ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। কুর্লা, চেম্বুর, তিলক নগর, আন্ধেরি, পারেল, লোয়ার পারেল-সহ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জল জমেছে ঠাণে, নবি মুম্বই, রায়গড়ের মতো পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতেও। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় মঙ্গলবার সমস্ত স্কুল বন্ধ ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
গত কাল থেকে একটানা বৃষ্টির জন্য কিছু এলাকায় রেললাইনের অংশ সম্পূর্ণ ভাবে ডুবে গিয়েছে। পশ্চিম রেলের শহরতলির মধ্যে রেল চলাচল ব্যহত হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আন্ধেরি এবং চার্চগেট স্টেশনের মাঝে কিছু ক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সেন্ট্রাল রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নরেন্দ্র পাটিল জানিয়েছেন, সকালে কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হলেও বেলার দিকে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে বেশির ভাগ ট্রেন পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট দেরিতে চলছে। বাতিল হয়েছে আমদাবাদ এক্সপ্রেস, বান্দ্রা-সুরাত ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, মুম্বই সেন্ট্রাল-আমদাবাদ শতাব্দী এক্সপ্রেস, মুম্বই সেন্ট্রাল-পোরবন্দর এক্সপ্রেস এবং বান্দ্রা টার্মিনাস-বাপি প্যাসেঞ্জার।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত মুম্বই শহরে ৩০.০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম শহরতলিতে ৪২.৭২ মিলিমিটার ও ৫৮.৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবায় ১৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সান্তাক্রুজে বৃষ্টি হয়েছে ৬১ মিলিমিটার। মুম্বই ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ঠাণে জেলায় চব্বিশ ঘণ্টায় ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঠাণেতে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।