হ্যাল-এর ভিতরে কাজে ব্যস্ত কর্মীরা। —ফাইল চিত্র।
রাফাল দুর্নীতির অভিযোগে প্রকাশ্যে সুর চড়ালেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা হ্যালের কর্মীরাও। দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে আজ তাঁরা রাজধানীতে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন।
কিছু দিন আগে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, অনিল অম্বানীকে সাহায্য করার জন্য হ্যাল বন্ধ করার চক্রান্ত করছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ একই সুরে দিল্লিতে সরব হ্যাল-এর কর্মীদের অভিযোগ, রাফাল তৈরি করতে তারা সক্ষম ছিলেন। এখনও অফসেটের বদলে প্রযুক্তি হস্তান্তর করে রাফাল বানাতে চান তাঁরা। অনিল অম্বানীর বিমান তৈরির যোগ্যতাই নেই। হ্যাল তার থেকে ঢের অভিজ্ঞ।
হ্যাল-এর কর্মী সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রেণুকা, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট কে সতীশ আজ অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী হ্যালে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উল্টে ১১ হাজার কোটি টাকা কেড়ে নিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এখনও হ্যালের একটি কারখানাও ঘুরে দেখেননি। সংসদে সম্প্রতি যত টাকা দেওয়ার দাবি করেছেন, সেটিও বিভ্রান্তিকর। তাঁদের দাবি, একটিও রাফাল হাতে না পেয়ে দাসোকে ২০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। কিন্তু হ্যাল বিমান তৈরি করে দিয়েও ১৪ হাজার কোটি টাকা পায়নি। হ্যাল ১৯ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে সরকারের থেকে, পেয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। যে কারণে কর্মীদের মাইনে দিতে টাকা ধার করতে হয়েছে।
গত কালই হ্যালের কর্তাদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেছিলেন নির্মলা। কিন্তু কাজ না পেয়ে হ্যালের অবস্থা যে ক্রমশই শোচনীয় হয়ে উঠছে, সেটি আজ সবিস্তার জানান কর্মীরা। হ্যাল রাহুল গাঁধী লাগাতার সরব হওয়ার জন্য কংগ্রেস সভাপতিকে ‘ধন্যবাদ’ও জানিয়ে আসেন এই কর্মীরা। তাঁদের মতে, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরেই রাহুল গাঁধীর শরণাপন্ন হই আমরা।’’
রাফালের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই রাহুল গাঁধী ‘চৌকিদার চোর’ বলে নিরন্তর বিঁধছেন প্রধানমন্ত্রীকে। আজ তামিলনাড়ুর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভিডিয়ো আলাপচারিতাতে মোদীকেও রাফালের প্রসঙ্গে টেনে আনতে হয়। তাঁর অভিযোগ, অগুস্তা দুর্নীতিতে গ্রেফতার ক্রিশ্চিয়ান মিশেলই রাফাল চুক্তি আটকাতে চেয়েছিলেন বলে খবর আসছে। কিন্তু তা করতে গিয়ে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেছে কংগ্রেস। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি যখন নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে, ভারত দশ বছর সময় অপচয় করেছে।