নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই কী ভাবে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন মন্ত্রী টমাস চান্ডি? প্রশ্ন তুূলেছিল হাইকোর্ট। ইস্তফাই দিতে হল মন্ত্রীকে। ছবি: পিটিআই।
ফের ধাক্কা খেল কেরলের বাম সরকার। এক বছরের মধ্যে পদত্যাগ করতে হল পিনারায়ি বিজয়ন সরকারের তৃতীয় মন্ত্রীকে। জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো সত্ত্বেও মন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে মরিয়া ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী টমাস চান্ডি। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রিত্ব ছাড়তে রাজি ছিলেন না কেরল বিধানসভার সবচেয়ে ধনী এই সদস্য। বাদ সাধল হাইকোর্ট। নিজের সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করছেন চান্ডি, ক্যাবিনেটের যৌথ দায়বদ্ধতা লঙ্ঘন করছেন তিনি— এই ভাষাতেই মঙ্গলবার পরিবহণ মন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করেছে করেছে কেরল হাইকোর্ট। তার পরই আজ মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছেন টমাস চান্ডি।
আলাপ্পুঝার জেলাশাসকের দেওয়া এক রিপোর্টেই টমাস চান্ডির বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। ওই জেলায় ব্যাকওয়াটারের ধারে টমাস চান্ডির একটি রিসর্ট রয়েছে। তিরুঅনন্তপুরম থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী ওই রিসর্টের জন্য পার্কিং লট এবং একটি রাস্তা বানাতে পরিবহণ মন্ত্রী টমাস চান্ডি একটি জলাশয়ের পথ বদলে দিয়েছেন এবং একটি কৃষিজমিকে অবৈধ ভাবে দখল করেছেন বলে গত মাসে দেওয়া ওই রিপোর্টে জানান জেলাশাসক।
আরও পড়ুন: ধর্মনিরপেক্ষতার মতো বড় মিথ্যা আর হয় না: যোগী আদিত্যনাথ
জেলাশাসকের রিপোর্ট মানতে চাননি মন্ত্রী। তিনি হাইকোর্টে এই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ জানান। কিন্তু কেরল হাইকোর্ট মঙ্গলবার যে পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করে, তা জেলাশাসকের রিপোর্টের পক্ষেই যায়। নিজের সরকারের দেওয়া রিপোর্টের বিরুদ্ধেই কী ভাবে মামলা করছেন মন্ত্রী? বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত। ‘‘মন্ত্রী যা করছেন, তা ক্যাবিনেটের যৌথ দায়বদ্ধতা লঙ্ঘন করার সামিল।’’ মঙ্গলবার জানায় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: চাপের মুখে সর্বত্রই মোদীকে চায় দল
আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরে মন্ত্রিত্বে টিকে থাকা তাঁর পক্ষে যে কঠিন, কেরলের শাসক জোট বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের শরিক এনসিপি-র বিধায়ক টমাস চান্ডি তা বুঝে গিয়েছিলেন। তাই আজ তিনি মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছেন। স্বজনপোষণ বা দুর্নীতির দায়ে গত এক বছরে এই নিয়ে তিন জন মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হল পিনারায়ি বিজয়নের ক্যাবিনেট থেকে।