শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান

রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় ঝাড়খণ্ডের সাংসদ শপথ নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ ঠুকেছেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, ঝাড়খণ্ডে ২৫ নভেম্বর থেকে ভোট শুরু হচ্ছে। রণনীতি হিসেবেই এ কাজ করেছেন মোদী। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে। আজ অর্থ-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাজারিবাগের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হার ছেলে জয়ন্ত।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:১৩
Share:

ঝাড়খণ্ডের সাংসদ মোদীর মন্ত্রিসভায়
সংবাদ সংস্থা • রাঁচি

Advertisement

রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় ঝাড়খণ্ডের সাংসদ শপথ নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ ঠুকেছেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, ঝাড়খণ্ডে ২৫ নভেম্বর থেকে ভোট শুরু হচ্ছে। রণনীতি হিসেবেই এ কাজ করেছেন মোদী। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে। আজ অর্থ-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাজারিবাগের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হার ছেলে জয়ন্ত। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অনাদি ব্রহ্ম এ দিন বলেন, “ঝাড়খণ্ডের ভোটারদের মন জিততেই জয়ন্ত সিন্হাকে মন্ত্রী করেছেন মোদী।” দলীয় মুখপাত্র রাজেশ ঠাকুর বলেছেন, “বিহারের কিছু সাংসদও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন নওয়াদার জনপ্রতিনিধি গিরিরাজ সিংহও।”

Advertisement

গোয়ায় প্রথম

এই প্রথম গোয়া থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা হল এ রাজ্যের কোনও প্রতিনিধির। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর রাজ্য থেকে প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মোদী রাজধানীর বাইরে গিয়ে প্রথম পা রেখেছিলেন এ রাজ্যেই। গোয়া বরাবরই তাঁর সৌভাগ্যের সঙ্গী। গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার পরে গোয়াতেই বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে আডবাণী এবং প্রয়াত নেতা প্রমোদ মহাজনের সমর্থনে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গদি বাঁচাতে পেরেছিলেন মোদী। তাঁর নয়া মন্ত্রিসভায় রাজ্য থেকে প্রতিনিধিত্বের দৌড়ে অবশ্য সব চেয়ে এগিয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। চার জন মন্ত্রী হয়েছেন সে রাজ্য থেকে। আর তার পরেই রয়েছে বিহার। একই ভাবে নতুন রাজ্য তেলঙ্গানা থেকে মন্ত্রী হয়েছেন বান্দারু দত্তাত্রেয়।

মহিলা মুখ

সম্প্রসারণের জেরে মোদী মন্ত্রিসভায় মহিলা মন্ত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট। উত্তরপ্রদেশের সাংসদ সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি একমাত্র মহিলা যিনি মন্ত্রী হিসেবে রবিবার শপথ নিলেন। ৪৭ বছর বয়সি জ্যোতি ধর্মপ্রচারক এবং ফতেপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন। রবিবার তিনি প্রতিমন্ত্রী হলেন। তিনি ছাড়া মোদী মন্ত্রিসভায় বাকি সাত মহিলা মন্ত্রী হলেন, সুষমা স্বরাজ, উমা ভারতী, নাজমা হেপতুল্লা, মেনকা গাঁধী, হরসিম্রত কৌর বাদল, স্মৃতি ইরানি এবং নির্মলা সীতারমন (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী) । ঘটনাচক্রে মোদী মন্ত্রিসভায় সব চেয়ে তরুণ মুখ এক মহিলাই স্মৃতি ইরানি। আর সব চেয়ে বয়স্ক মুখও আর এক মহিলা নাজমা হেপতুল্লা।

কুর্তা পাজামা

মনোহর পর্রীকর, সুরেশ প্রভু এবং রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর ছাড়া বাকি সব মন্ত্রী শপথ নিলেন চিরাচরিত ধোপদুরস্ত কুর্তাপাজামা পরে। পর্রীকর এবং প্রভুর পরনে ছিল শার্ট-প্যান্ট। রংবেরঙের রাজস্থানি পাগড়ি বেঁধে বন্ধ-গলা কোট পরে রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে শপথ নিলেন রাজ্যবর্ধন। কালো নেহরু-জ্যাকেট আর কুর্তাপাজামায় হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

মিস্ত্রি মন্ত্রী

পঞ্জাব থেকে ৫৩ বছরের এই মানুষটির উত্থানে অবাক অনেকেই। সদ্য নিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী বিজয় সাঁপলা সৌদি আরবে কলের মিস্ত্রির কাজ করতেন। পরে গ্রামের সরপঞ্চ হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ। শপথগ্রহণের পর তিনি মন্তব্য করেন, “এক জন চা-বিক্রেতার ছেলে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তা হলে কলের মিস্ত্রি মন্ত্রী কেন হতে পারবেন না?”


শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যবর্ধন রাঠৌর। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে। ছবি: পিটিআই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন