রাজ্যের পেট্রোল সঙ্কটের মোকাবিলা করতে ‘রেশনিং’-এর পর এ বার রাজ্য সরকার ‘জোড়-বিজোড়’ নীতি নেওয়ার কথা ঘোষণা করল। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা জানিয়েছেন, ‘‘২৮ জুলাই থেকেই এই নীতি আগরলতলা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় কার্যকর হবে।’’
সব ধরনের পেট্রোলচালিত গাড়ি, সে দু’চাকাই হোক কিংবা চার চাকা, তাদের ক্ষেত্রে এ ভাবেই পেট্রোল দেওয়া হবে। জোড়-বিজোড় নম্বর অনুযায়ী এক দিন অন্তর তেল দেওয়া হবে। অর্থাৎ আজ জোড় নম্বরের গাড়িকে পেট্রোল দেওয়া হলে কাল পাবে বিজোড় নম্বরের গাড়ি, পরশু ফের জোড়।
খাদ্য দফতরেরও ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ভানুবাবু বলেন, রাজ্যের অন্য জেলায় খাদ্য দফতরের এই নির্দেশ কার্যকর হবে না। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘রাজ্যে পেট্রোল চালিত শুধু দ্বিচক্র যানের সংখ্যাই রাজধানী আগরতলা এবং শহরতলিতে সব চেয়ে বেশি। এই সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৩ হাজারের কাছাকাছি।’’
পেট্রোলের উপর ‘রেশনিং’ চালু হয়েছে কয়েক সপ্তাহ আগেই। তা এখনও কার্যকর রয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। আরও কত দিন রাজ্যে এই পেট্রোল সঙ্কট চলবে? মন্ত্রী কোনও আশার কথা শোনাতে পারেননি। উল্টে তাঁর আশঙ্কা, ‘‘অসমে লোয়ারপোয়া অঞ্চলে জাতীয় সড়কের যে বেহাল অবস্থা, তাতে এ বারের সারা বর্ষাই হয়তো ত্রিপুরাকে তেল সঙ্কটে ভুগতে হবে।’’
গত প্রায় দু’ মাস ধরে অসমের লোয়ারপোয়া অঞ্চলে জাতীয় সড়কের বেহাল দশার কারণে ত্রিপুরায় চাহিদা মতো পেট্রোল-ট্যাঙ্কার আসতে পারছে না। আইওসি পর্যাপ্ত ট্যাঙ্কার পাঠালেও লোয়ারপোয়া অঞ্চলে সেগুলি দাঁড়িয়ে থাকছে। উত্তর ত্রিপুরা সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণ অসমের তথা বরাকের বেহাল রাস্তা অতিক্রম করতে আট-দশ দিন বা তারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। তিনি অবশ্য আশ্বস্ত করেন, ‘‘রেল পথে এবং বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পেট্রোপণ্য আনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।’’ পেট্রোপণ্য বা ভোগ্যপণ্য নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।’’