Coromandel Express accident

মর্গে পড়ে ৮২টি দেহ, করমণ্ডলকাণ্ডে মৃতদের শনাক্তকরণে পড়শি রাজ্যগুলির সাহায্য চাইল ওড়িশা

ভুবনেশ্বর এমস জানিয়েছে, তাদের মর্গে ১৬২টি দেহ এসেছিল। তার মধ্যে ৮০টি দেহ শনাক্তকরণের পর পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৮২টি দেহ এখনও অশনাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩ ১১:৩২
Share:

মর্গে পড়ে থাকা অশনাক্ত দেহগুলিকে দ্রুত শনাক্ত করতে চাইছে ওড়িশা সরকার। ছবি: পিটিআই।

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও ভুবনেশ্বর এমসের মর্গে অশনাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৮২ জনের দেহ। দেহগুলি দ্রুত শনাক্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দিতে চাইছে প্রশাসন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ওই দেহগুলির দাবি জানাতে এখনও পর্যন্ত পরিবারের কেউই আসেননি।

Advertisement

তার মধ্যে দেহগুলির অবস্থা এতটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যত দেরি হবে শনাক্তকরণ আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাই এখন এই অশনাক্ত দেহের বিষয়টিই ভাবিয়ে তুলছে প্রশাসনকে। এই শনাক্তকরণ যাতে দ্রুত হয়, তাই পড়শি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করছে ওড়িশা সরকার।

ভুবনেশ্বর পুরনিগম (বিএমসি) কমিশনার বিজয় অম্রুতা কুলাঙ্গে বলেন, “দেহগুলি শনাক্তকরণের জন্য অন্যান্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি যাতে এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করা যায়।” কুলাঙ্গে আরও জানান, এ বিষয়ে রেল, ভুবনেশ্বর এমসও পুরনিগমকে সহযোগিতা করছে। মৃতদের আত্মীয়দের সুবিধা এবং সহযোগিতা করার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তা ছাড়া যাঁরা দেহ নিতে আসবেন, তাঁদের জন্য খাবার এবং থাকার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

Advertisement

ভুবনেশ্বর এমস জানিয়েছে, তাদের মর্গে ১৬২টি দেহ এসেছিল। তার মধ্যে ৮০টি দেহ শনাক্তকরণের পর পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৮২টি দেহ এখনও অশনাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এমস সূত্রে খবর, সবচেয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, একই দেহ একাধিক পরিবার দাবি করছে। ফলে ডিএনএ পরীক্ষার পরই আসল দাবিদারদের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ রকম ৫০টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ২৯টি নমুনা পাঠানো হয়েছে এমসে। সেই ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর দেহগুলি তুলে দেওয়া হবে সঠিক পরিবারের হাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন