প্রতীকী চিত্র।
ওলার মতো ট্যাক্সি পরিষেবার সঙ্গে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। এই পরিষেবার দাপটে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে সাবেক ট্যাক্সি পরিষেবা। কিন্তু কোনও দিন শুনেছেন ওলার বিল হয়েছে ৯ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা? বা নিদেনপক্ষে ৮৩ হাজার টাকা! অথবা মুম্বইয়ের রাস্তায় ওলা ছুটছে ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার বেগে!
দিন কয়েক আগে সামনে আসে প্রথম ঘটনাটি। হায়দরাবাদের নিজামাবাদ থেকে জুবিলি হিল পর্যন্ত যাওয়ার জন্য একটি ওলা বুক করেন রতীশ শেখর। কিন্তু এই ৪৫০ কিলোমিটার ওলা যাত্রা যে বিমানভড়ার চেয়েও বেশি হয়ে যাবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি রতীশ। যাত্রা শুরুর আগে অ্যাপস থেকে রতীশকে জানানো হয়, মোটামুটি ৫ হাজার টাকা বিল হবে। জুবিলি হিল পৌঁছে বিল হাতে নিয়ে চমকে যান রীতেশ। বিলের পরিমাণ যে ৯ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৭ টাকা! রীতেশের মতে, “প্রথমে আমি ভেবেছিলাম বিল হয়েছে ৯১৫৮.৮৭ টাকা। কিন্তু পরে দেখলাম বিল জানাচ্ছে আমি ৮৫ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার ট্র্যাভেল করেছি। আর আমার বিল হয়েছে ৯ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৭ টাকা! বিল দেখে ওলার চালক বলেন, এই টাকায় তো আপনার দুটো গাড়ি হয়ে যেত!’’ পরে অবশ্য ওলা নিজের ভুল বুঝতে পেরে ৪ হাজার ৮১২ টাকার সংশোধিত বিল পাঠায় রীতেশকে। সামান্য প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য এই গণ্ডগোল বলেও জানায় ওলা।
কিন্তু এই ‘সামান্য প্রযুক্তিগত সমস্যা’ থেকে যে ওলা কোনও শিক্ষাই নেয়নি, তার প্রমাণ মিলল ফের। দক্ষিণের হায়দরাবাদ থেকে এ বারের ঘটনাস্থল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। পুণে থেকে মুম্বই আসার জন্য এ বার ওলা বুক করেন ঘাটকোপারের ব্যবসায়ী কমল ভাটিয়া। মুম্বই পৌঁছে দেখেন বিল অনুযায়ী তিনি ওলা চড়েছেন ১৪ ঘণ্টা, পেরিয়েছেন ৭ হাজার কিলোমিটার পথ। মোট বিলের পরিমাণ ৮৩ হাজার ৩৯৫ টাকা। এখানেই শেষ নয়। বিল অনুযায়ী ওলার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার। এ ক্ষেত্রেও অবশ্য নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ৪ হাজার ৮৮ টাকার সংশোধিত বিল পাঠায় ওলা। এবং এ ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত সমস্যার দিকেই আঙুল তুলেছে কর্তৃপক্ষ।