Maharashtra

অতীতের খরাবিধ্বস্ত এই জনপদ এখন দেশের ধনীতম গ্রাম! কী ভাবে জানেন?

ক্ষমতায় এসে প্রথমেই পোপটরাও বন্ধ করে দিলেন গ্রামের বাইশটি মদের দোকান। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে সহজে কৃষকদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করলেন।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৮
Share:
০১ ১০

ছিল খরাবিধ্বস্ত গ্রাম। হয়েছে দেশের ধনীতম গ্রাম। মহারাষ্ট্রের আহমদনগরের হিবরে বাজার গ্রামের ভোলবদল চমকে দেওয়ার মতো।

০২ ১০

বর্তমানে দেশের গ্রামগুলির মধ্যে এখানেই মাথাপিছু গড় আয় সর্বোচ্চ। মোট ২৩৫টি পরিবারের এই গ্রামে বাসিন্দা ১২৫০ জন। ২০১৫-’১৬ আর্থিক বর্ষে গ্রামের পরিবারপিছু গড় মাসিক উপার্জন ছিল ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা।

Advertisement
০৩ ১০

অথচ কয়েক বছর আগেও হিবরে ছিল খরাপীড়িত গ্রাম। ১৯৯৫ সালে এই গ্রামে বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় ছিল মাত্র ৮৩০ টাকা।

০৪ ১০

খরার প্রকোপে জলের অভাবে শিকেয় উঠেছিল কৃষিকাজ। বেকার গ্রামবাসীরা ব্যস্ত থাকত জুয়া আর মদ্যপানে। গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল।

০৫ ১০

এই রকম অবস্থায় গ্রামের সরপঞ্চ হলেন পোপটরাও পওয়ার। তিনি ছিলেন গ্রামের একমাত্র স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি সরপঞ্চ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

০৬ ১০

ক্ষমতায় এসে প্রথমেই পোপটরাও বন্ধ করে দিলেন গ্রামের বাইশটি মদের দোকান। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে সহজে কৃষকদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করলেন।

০৭ ১০

জল স‌ংরক্ষণের পাশাপাশি শুরু হল বৃষ্টির জলকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকাজ। গ্রাম জুড়ে তৈরি হল জলাধার। ভূগর্ভস্থ জলস্তর কিছুটা বাড়ায় কমল জলাভাবের সমস্যা।

০৮ ১০

এখন এই গ্রামে ২৯৪টি পাতকুয়ো। কৃষির উন্নতি হওয়ায় শহর থেকে ফিরে এসেছেন গ্রামবাসীরা। শহরে দিনমজুর হয়ে কাজ করার বদলে বেছে নিলেন গ্রামের কৃষক-জীবন।

০৯ ১০

গ্রামের চাষের মাঠে কাজ করার জন্য বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়ে আসা হয় না। বরং একটি পরিবার মজুর হিসেবে নিয়োগ করে ওই গ্রামেরই অন্য পরিবারের কোনও সদস্যকে। কৃষির পাশাপাশি এই গ্রামের অন্যতম আয়ের উত্স পশুপালন। প্রতি দিন ৮৮০ গ্যালন দুধ উত্পাদন করে হিবরে।

১০ ১০

জল সংরক্ষণের প্রভূত উন্নতি হয়েছে গ্রামের কৃষিক্ষেত্রে। এর পাশাপাশি গ্রামের জমিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে ১০০ রকম গাছের প্রজাতিকে। গ্রামবাসীদের সদিচ্ছার জোরে অতীতের খরাবিধ্বস্ত জনপদ এখন দেশের গ্রামগুলির মধ্যে ধনীতম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement