প্রতীকী ছবি।
এখনও বিরোধীদের কাউকে মন্দসৌরে ঢুকতে দিচ্ছে না মধ্যপ্রদেশের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান নিজে অবশ্য আগামিকাল সেখানে যাচ্ছেন। তার আগে মন্দসৌরে নিহত কৃষকদের পরিবারগুলির জন্য ৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে তাঁর সরকার। শিবরাজের অস্বস্তি তবু বাড়ছেই। তাঁর মন্দসৌর যাত্রার আগের দিন আরও তিন জন কৃষকের আত্মহত্যার খবর মিলেছে। যার একটি ঘটেছে শিবরাজের জেলা সীহোরে। সেখানে রেহতি থানা এলাকায় দুলচাঁদ কীর নামে ৫৫ বছর বয়সি এক কৃষক গত কাল আত্মহত্যা করেছেন। মাথায় ৬ লক্ষ টাকা দেনা ছিল তাঁর।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিংহ অবশ্য মন্দসৌরকে অশান্ত করার জন্য আজও দুষেছেন কংগ্রেসকেই। কলকাতায় এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ওখানে কংগ্রেসের প্ররোচনা ছিল। তাদের ৩ বিধায়ক থানা জ্বালিয়ে দেন। কংগ্রেসের ওখানে যাওয়ার দরকারই ছিল না। কৃষকেরাই নিজেদের সমস্যা মেটাতে পারতেন।’’
আরও পড়ুন:কেন্দ্রের ‘উপদেশে’ সবই বন্ধ গর্ভবতীর
কিন্তু মন্দসৌরের সেই অশান্তির পরে এক সপ্তাহে কেন মোট ৫ জন কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি শাসক শিবিরের কারও কাছ থেকে। বরং পুলিশের গুলি ও লাঠিতে কৃষকদের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরেও কোনও বিরোধী নেতাকে মন্দসৌরে যেতে না দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ‘স্বরাজ ইন্ডিয়া’-র নেতা যোগেন্দ্র যাদব। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মধ্যপ্রদেশে সরকার অবশ্যই কিছু লুকোচ্ছে।’’ মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আজ ফের মন্দসৌরে ঢোকার চেষ্টা করেন। ঢুকতে না দিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পটেল আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেলও আজ সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকেও আটক করা হয়। কংগ্রেসের এক নেতা জানান, কৃষকদের সংগঠনের আন্দোলনই হোক বা হার্দিক পটেলের উদ্যোগ— সবের পিছনেই কংগ্রেসের পরোক্ষ মদত রয়েছে। রাহুলের ‘সন্দেশ যাত্রা’-র জমি তৈরির কাজ চলছে। বস্তুত সেই লক্ষ্যেই জ্যোতিরাদিত্য আজ মন্দসৌরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা পেয়ে তিনি ৭২ ঘণ্টা সত্যাগ্রহের ডাক দিয়েছেন। কংগ্রেস বন্ধের ডাক দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে।