নোট-কাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাননি তিনি। কিন্তু আজ কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী নেতাদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের অভিযানে মধ্যমণি হলেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী।
আজ অবশ্য বিরোধী দলগুলির রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্য নোট-বাতিলে মানুষের হেনস্থার বিষয়টি নয়। বরং যে ভাবে সরকার কালো টাকা উদ্ধারের নামে আয়কর আইনের সংশোধনী সংসদে পাশ করিয়েছে, তা নিয়েই প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাহুলরা। রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর রাহুল অভিযোগ করেন, ‘‘আয়কর আইন পাশ সংবিধান মেনে হয়নি। আমরা এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’ পাশে দাঁড়ানো তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই বিল পাশ করানোর ফলে যাদের কালো টাকা রয়েছে, সরকার তাদেরই সুবিধা করে দিয়েছে। সংসদে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই এই ধরনের বিল কী ভাবে পাশ করানো হল, তা আমাদের বোধগম্য হয়নি।’’
গত সপ্তাহে রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদের উচ্চ কক্ষে হাজির হতেই বিরোধীরা চেপে ধরেছিলেন। তাঁর উপস্থিতির শর্তে নোট বাতিলের বিতর্কে আলোচনাও শুরু করে দেন বিরোধীরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার পর ফিরে আসেননি। আজ আবার এলেন তিনি। কিন্তু বিরোধীদের এ বারের দাবি, সংসদের বাইরে মন্তব্যের জন্য মোদীকে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ তিনি সব বিরোধীকেই কালো টাকার ধারক বলেছিলেন।
সংসদীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমারের বক্তব্য, বিরোধীদের আগের দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রী সংসদে আসুন। আজ প্রধানমন্ত্রী শুধু প্রশ্নোত্তর পর্ব নয়, সংসদ মুলতবি পর্যন্ত বসেছিলেন। এমনকী মাঝে এক বার অধিবেশন মুলতবির সময়েও রাজ্যসভা ছেড়ে যাননি। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা আলোচনা চায়নি। তারা শুধু হট্টগোলেই ব্যস্ত রইলেন!’’