রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশে করিমগঞ্জ জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। করিমগঞ্জ জেলা কারাগারের দুই কয়েদি, সঞ্জয় দাস এবং আনোয়ার হুসেন মানবাধিকার আয়োগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন জেল সুপার হবিবুর রহমান বড়ভূইয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলা সুপার কয়েদিদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নেন। এমনকী বিভিন্ন অনৈতিক কাজে বাধ্য করান জেল সুপার।
রোজার সময় কয়েদিদের মাছ খাওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল একটি সামাজিক সংস্থা। কয়েদিদের মাছের টাকা থেকে দেশি মাছ কিনে দেওয়ার জন্য দাবি করেন জেল সুপার। এনিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়। কোন এক সময় জেল সুপারের সঙ্গে কয়েদি সঞ্জয় দাস এবং আনোয়ার হুসেনের মারপিটের উপক্রমও হয়। জেল সুপারও কয়েদিদের শারীরিক নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে জেলের কয়েদিরা অনশন শুরু করেন। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দিয়ে তখনকার মতো অনশন প্রত্যাহার করায়। কিন্তু বাস্তবে কোনও তদন্তই হয়নি। বরং দুই কয়েদির একজনকে শিলচরে এবং অন্যজনকে হাইলাকান্দি কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই করিমগঞ্জ জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ড নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করে তারা। মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য করিমগঞ্জের জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছে। সেই অনুযায়ী করিমগঞ্জের অতিরিক্ত জেলাশাসক ধ্রুবজ্যোতি দেব হাইলাকান্দি কারাগারে থাকা সঞ্জয় দাস এবং শিলচর কারাগারে থাকা আনোয়ার হুসেনকে আজ ডেকে আনেন। প্রথমে তাদের জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক সাংবাদিকদের জানান, কারাগারের ৬-৭ জন কর্মীর জবানবন্দিও তিনি গ্রহণ করবেন এবং সব শেষে জেল সুপারের জবানবন্দি নেবেন।