হামলার সেই ছবি। বৈসরন উপত্যকায় প্রাণভয়ে ছুটছেন পর্যটকেরা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
পাইন গাছের জঙ্গলে ঘেরা সবুজ সুদৃশ্য উপত্যকা। সেখান থেকে ভেসে আসছে গুলির শব্দ। ইতস্তত এ দিক-ও দিক দৌড়চ্ছেন পর্যটকেরা। পহেলগাঁও কাণ্ডের আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (আনন্দবাজার ডট কম তার সত্যতা যাচাই করেনি)। ভিডিয়োটি অনেক দূর থেকে কেউ তুলেছেন। পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। আহত আরও বেশ কয়েক জন।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, জঙ্গিরা গুলি চালাচ্ছে। সেই গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে। গুলি থেকে বাঁচতে উপত্যকায় দৌড়চ্ছেন পর্যটকেরা। কয়েক জন মহিলাকেও ছুটতে দেখা গিয়েছে। অনেককেই হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে।
পহেলগাঁওয়ে হামলায় নিহতদের আত্মীয়েরা দাবি করেছেন, হামলাকারীরা ধর্ম জানতে চেয়েছিলেন তাঁদের। কাউকে কাউকে কলমা পড়তে বলেছিলেন। তার পরেই বেছে বেছে গুলি করেছিলেন। হামলায় বাবাকে হারিয়েছেন ২০ বছরের হর্ষল লেলে। তিনি পিটিআইকে জানিয়েছেন, সবে দুপুরের খাবার খেয়ে উপত্যকায় একটু জিরোচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই শোনেন গুলির শব্দ। একটি গুলি লেগে আহত হন তিনি। আর একটি গুলি হর্ষলের কান ঘেঁষে গিয়ে বিঁধে যায় তাঁর বাবার শরীরে। যুবকের কথায়, ‘‘তখন আর কিছু ভাবিনি। মনে হয়েছিল, যে করেই হোক মাকে বাঁচাতে হবে। বাবা থাকলেও তা-ই করতেন।’’ হর্ষলের মা আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত। ভাল করে চলতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘‘আমি আর আমার তুতো ভাই ধ্রুব মাকে তুলে নিয়ে ছুট দিই। এবড়োখেবড়ো রাস্তায় মা বেশ কয়েক বার পড়ে যান। তাঁর চোটও লাগে। তবে অন্য কোনও পথ ছিল না আমাদের সামনে।’’
হামলার পরে উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। স্থানীয়দের জেরা করছে। কয়েক জনকে আটকও করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত তিন জনের স্কেচ প্রকাশ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।