মোদীর দাবি, বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি ছিল না তা বিশ্বকে দেখাতে মরিয়া পাকিস্তান। ছবি: পিটিআই।
বালাকোটের যেখানে জঙ্গি ঘাঁটি ছিল সেখানে ছোটদের স্কুল তৈরি করছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ এমন তথ্যই প্রকাশ্যে এনেছেন।
রাহুল গাঁধী যখন বেকারত্ব, কৃষিসঙ্কট, দারিদ্র দূর করার সমাধান দিচ্ছেন, ভোটপ্রচারে তখন মোদীর অন্যতম অস্ত্র দেশভক্তিই। আজ দিল্লিতে ‘আমিও চৌকিদার’ অভিযানের অধিকাংশ সময়ও প্রধানমন্ত্রী ব্যয় করলেন পাকিস্তানকে নিয়েই। ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির ক্লাবে নিয়ে যাওয়া কিংবা শিক্ষাকে বিশ্বের মাপকাঠিতে উন্নত করার কথা বলার সময় একবার অবশ্য তিনি বললেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান করে অনেকটা সময় অপচয় হয়েছে। পাকিস্তানের ‘মরণ’ হবে, তাদের ছেড়ে দিন। আমরা এগিয়ে যাই।’’
মোদীর দাবি, বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি ছিল না তা বিশ্বকে দেখাতে মরিয়া পাকিস্তান। তাঁর কথায়, ‘‘গত দেড় মাস ধরে, বালাকোটে কাউকে যেতে দেয়নি পাকিস্তান। কেউ আমাকে জানালেন, সেখানে ছোটদের স্কুল তৈরি হচ্ছে। যাতে সেখানে গোটা দুনিয়াকে নিয়ে গিয়ে দেখাতে পারে, কোনও জঙ্গি ঘাঁটি ছিল না।’’ দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের মাটিতে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ফের হামলা হতে পারে। আজ তিনি বললেন, ‘‘দেড় মাস হয়ে গিয়েছে। এখন পাকিস্তানের ‘এয়ার-স্পেস’ খোলা হচ্ছে। ওরা ভাবছে, মোদী এখন ভোটে ব্যস্ত, কিছু হবে না। কিন্তু মোদীর কাছে ভোট নয়, অগ্রাধিকার দেশ।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানের সিদ্ধান্ত তিনি কেন নিয়েছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘মুম্বই বা উরিতে এসে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে যায়, এ সব কতদিন চলবে? তখনই স্থির করি, যেখান থেকে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ হয়, খেলা সেখানেই হবে। ময়দানও ওদের হবে।’’