BSF of Terror Launchpad

সিঁদুর অভিযানের পর ৭২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড সীমান্ত থেকে সরিয়েছে পাকিস্তান, প্রয়োজনে সিঁদুর ২-এর জন্য প্রস্তুত: বিএসএফ

বিএসএফের ডিআইডি বিক্রম কুঁয়ার বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় বিএসএফ সীমান্তের ও পারে বহু জঙ্গিশিবির ধ্বংস করেছে। বেশ কয়েকটি লঞ্চপ্যাডও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৩৭
Share:

জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় বিএসএফের টহল। ছবি: পিটিআই।

সিঁদুর অভিযানের পর সীমান্ত থেকে জঙ্গি শিবির এবং লঞ্চপ্যাডগুলি সরিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। শনিবার এমনই দাবি করল বিএসএফ। সরকার যদি নির্দেশ দেয় প্রয়োজনে সিঁদুর ২ অভিযানের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে বাহিনী। সিঁদুর অভিযানে সেনার ভূমিকারও প্রশংসা করেছে বিএসএফ। ৭-১০ মে যে ভাবে দেশের বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে, তা অনবদ্য বলে জানান বিএসএফের শীর্ষ এক কর্তা।

Advertisement

বিএসএফের ডিআইজি বিক্রম কুঁয়ার বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুরের সময় বিএসএফ সীমান্তের ও পারে বহু জঙ্গিশিবির ধ্বংস করেছে। বেশ কয়েকটি লঞ্চপ্যাডও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলার মুখে পড়ে পাক সরকার জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলি সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলেছে। সিয়ালকোট এবং জ়াফরওয়ালে ১২টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড রয়েছে। যেগুলি সীমান্ত থেকে অনেকটাই ভিতরে। সেগুলি এখনও সক্রিয়।’’

বিএসএফের ডিআইজি আরও জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকা থেকে আরও ৬০টি লঞ্চপ্যাড সরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। ২০২৫ সালে বাহিনীর সাফল্যের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিএসএফের ডিআইজি। সাংবাদিক বৈঠকে ডিআইজি ছাড়াও ছিলেন জম্মু ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আইজি শশাঙ্ক আনন্দ, ডিআইজি কুলবন্ত রাই শর্মা। বিএসএফ জানিয়েছে, জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলির সংখ্যা অনবরত বদলাতে থাকে। তাদের কথায়, ‘‘এই লঞ্চপ্যাডগুলি কখনওই নিষ্ক্রিয় ভাবে থাকে না। যখনই ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর প্রয়োজন হয়, তখনই সেগুলি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এক একটি লঞ্চপ্যাডে জঙ্গিদের দুই থেকে তিনটি দল থাকে। ডিআইজি কুঁয়ারের দাবি, অপারেশন সিঁদুরের পর আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে এখন কোনও জঙ্গি শিবির নেই।

Advertisement

ডিআইজি জানিয়েছেন, আগে জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর লঞ্চপ্যাডগুলি ছিল নিচু এলাকায়। আর লশকরের লঞ্চপ্যাডগুলি ছিল উপরের দিকে। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের পর সেগুলি সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। এখন আর আলাদা ভাবে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য শিবির নেই। দুই গোষ্ঠীর জঙ্গিরা একসঙ্গে ওই লঞ্চপ্যাডগুলিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর পরই ডিআইজি বলেন, ‘‘বিএসএফ যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। সুযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement