আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে বিতর্কে এ বার সুর চড়াল পাকিস্তানও। পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পাকিস্তান ও মুসলিমদের প্রতি ভারতের অসহিষ্ণুতা যে বাড়ছে, এটা তারই প্রমাণ।’’ তাঁর বক্তব্য, মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর ছবি বা মূর্তি রাখা নিয়ে ইসলামাবাদে কখনও প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও ভারতীয় সেনাকে একহাত নিয়েছে ইসলামবাদ।
ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্য হিসেবে ১৯৩৮ সাল থেকেই জিন্নার ছবি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থানীয় সাংসদ বিজেপির সতীশ গৌতম এ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিতর্ক বাধে। তাঁর বক্তব্য ছিল, যাঁর কারণে দেশভাগ, এখনও কেন তাঁর ছবি রাখা হবে। মাঠে নামে যোগী আদিত্যনাথের হিন্দু যুবা বাহিনী। হিংসা ছ়ড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থগিত হয়ে যায় পরীক্ষাও।
ভিন্ন স্বর বিজেপি সাংসদ সাবিত্রী ফুলের। জিন্নাকে আজ ‘মহাপুরুষ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে জিন্নার ভূমিকা কোনও ভাবেই খাটো করা যায় না। লোকসভাতেও তো ওঁর ছবি রয়েছে!’’ এর আগে দলিতদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে খেয়ে আসা নিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে বিঁধেছিলেন ফুলে।