Narendra Modi

‘শৌচাগার হয়েছে, তাই সম্ভব লকডাউন’

দেশে করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা কুড়ি লক্ষ ছাড়িয়েছে। ফি-দিন আক্রান্ত হচ্ছেন ষাট হাজারের কাছাকাছি মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ০৩:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

ছ'বছর আগে দেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ শৌচাগার ব্যবহার করতেন। এখন করেন প্রায় সকলেই। তাই ছ'বছর আগে যদি দেশে করোনা হানা দিত, তা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করাও জটিল হত বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তখন দেশে লকডাউন করা আদৌ সম্ভব হত কি না, তা নিয়েই আজ সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।

Advertisement

দেশে করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা কুড়ি লক্ষ ছাড়িয়েছে। ফি-দিন আক্রান্ত হচ্ছেন ষাট হাজারের কাছাকাছি মানুষ। যা দেখে রীতিমতো উদ্বিগ্ন চিকিৎসকদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে আজ দিল্লির রাজঘাটে রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রীতিমতো চমকে দিয়ে মোদীর বলেন, ২০১৪ সালের আগে করোনা সংক্রমণ হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াত। দেশের বড় সংখ্যক মানুষকে তখন শৌচের জন্য মাঠে-ঘাটে যেতে হত। ওই মানুষদের কথা ভেবে সরকারের পক্ষে লকডাউন ঘোষণা করা সম্ভব হত না। মোদীর দাবি, গোটা দেশে শৌচাগার নির্মাণ ছবিটা পাল্টে দিয়েছে। স্বচ্ছতা অভিযানের অভিজ্ঞতাকে করোনা সংক্রমণ রোখার অভিযানে কাজে লাগিয়ে সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে।

১৯৪২ সালে আজকের দিনেই ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী। তাই আজ স্বচ্ছতা কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে দেশের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে গাঁধীর স্বচ্ছতার আদর্শ মেনে চলার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। এক সপ্তাহ পরেই স্বাধীনতা দিবস। তার মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে সর্বজনীন শৌচাগার বানানো ও যেগুলি বানানো হয়েছে সেগুলি মেরামত করা, আর্বজনা থেকে সার তৈরি, প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার কমানো ইত্যাদির উপরে জোর দেন মোদী। প্রত্যেক জেলাশাসককে আগামী এক সপ্তাহ নিজের জেলায় ষয়টি দেখভাল করার নির্দেশ দেন তিনি।

Advertisement

মোদীর এ দিন দাবি করেন, গঙ্গা আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ হয়েছে। এ বার যমুনা নদীকে স্বচ্ছ করার পরিকল্পনা কেন্দ্র দ্রত বাস্তবায়িত করতে চাইছে। সে কারণে যমুনা তীরবর্তী এলাকার গ্রাম ও শহরের বর্জ্য যাতে সরাসরি নদীতে এসে না-পড়ে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে সে ব্যাপারে নজরদারি করতে বলেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন