জাতীয় সড়কে নজর মন্ত্রীর

কংগ্রেস আমলে বরাকের মন্ত্রীরাই বকলমে ঠিকাদারি করতেন বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। তাঁর মতে, সে কারণেই বরাকের রাস্তাঘাট অনুন্নত ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৯
Share:

কংগ্রেস আমলে বরাকের মন্ত্রীরাই বকলমে ঠিকাদারি করতেন বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। তাঁর মতে, সে কারণেই বরাকের রাস্তাঘাট অনুন্নত ছিল।

Advertisement

করিমগঞ্জের শ্রীগৌরী থেকে চরগোলা জাতীয় সড়কের কাজ পরিদর্শন করতে এসে এই মন্তব্য করেন পূর্তমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমলে হাইলাকান্দির মন্ত্রী, করিমগঞ্জের মন্ত্রী, সবাই রাস্তার ঠিকাদারি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। যেহেতু রাস্তার কাজে মুনাফা বেশি, তাই রাস্তা খারাপ করে রাখা হত। বিজেপি সরকার গঠনের পর পরিবেশ পাল্টে গিয়েছে। বিজেপির মন্ত্রীরা ঠিকাদারি করেন না।’’ তাঁর বক্তব্য, সরকার গঠনের ৮-৯ মাসের মধ্যে করিমগঞ্জ-শিলচরের রাস্তার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। শিলচর থেকে করিমগঞ্জে আসতে এখন দেড় থেকে দু’ঘণ্টা সময় লাগে। কংগ্রেস আমলে লাগত চার ঘণ্টা। শ্রীগৌরী-চরগোলা জাতীয় সড়কের চওড়া করে ১০ মিটার করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। সেই সঙ্গে করিমগঞ্জ-পাথারকান্দি জাতীয় সড়কের অর্ধ-সম্পূর্ণ কাজ ১৫-২০ দিনের মধ্যে পুনরায় শুরু হবে। করিমগঞ্জের রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ৮০ শতাংশ সমস্যা মিটে যাবে বলে পরিমলবাবু মনে করেন।

এ দিকে, বরাক উপত্যকার প্রাক্তন মন্ত্রী, কংগ্রেসের গৌতম রায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে যে খবর প্রায়শই ছড়িয়ে পড়ে, সে প্রসঙ্গে পূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘‘গৌতম রায় যেমন বিজেপিতে যোগদানের জন্য আবেদন করেননি, তেমনই বিজেপিও তাকে আমন্ত্রণ জানায়নি।’’ করিমগঞ্জ লোকসভা আসনে দু’বার পরিমল শুক্লবৈদ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আগামী বার আর তাঁর লড়ার ইচ্ছে নেই বলেই সাংবাদিকদের জানান। জেলা সফরে তাঁর সঙ্গী ছিলেন করিমগঞ্জের বিজেপির সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, সম্পাদক বিজু বণিক-সহ অন্য নেতারা।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। ১০ হাজার ৮ জন ছাত্রছাত্রীকে আজ ডিগ্রি প্রদান করল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। তার মধ্যে ৬৫৩ জন পিএইচডি ও ১৫৫ জন পেলেন এম-ফিল ডিগ্রি। বাকিরা পেয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। আজ সমাবর্তনে উপস্থিত থেকে মোট ৩ হাজার ৩০০ ছাত্রছাত্রী শংসাপত্র গ্রহণ করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপচন্দ্র নাথ বলেন, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বরের পর যাদের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তাদের সকলের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। দীক্ষান্ত ভাষন দেন বম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্জয় ভি দেশমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন