Anurag Thakur

বিরোধীশূন্য লোকসভায় পাশ সংবাদমাধ্যম বিল 

১৮৬৭ সালের ‘প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব বুকস অ্যাক্ট’-এর বদলে ‘প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব পিরিয়োডিক্যালস বিল, ২০২৩’ এনেছে মোদী সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০৬
Share:

কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ছবি: পিটিআই।

গত অগস্টে রাজ্যসভায় নরেন্দ্র মোদী সরকার সংবাদমাধ্যম ও পত্রপত্রিকা নথিভুক্তিকরণ বিল (২০২৩) পাশ করানোর পরেই সেটির বিভিন্ন ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর অনুরোধ করেছিল দ্য এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া। আজ বিনা প্রশ্নে, কার্যত বিরোধীশূন্য লোকসভায় বিলটি পাশ করিয়ে নিল কেন্দ্র।

Advertisement

১৮৬৭ সালের ‘প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব বুকস অ্যাক্ট’-এর বদলে ‘প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অব পিরিয়োডিক্যালস বিল, ২০২৩’ এনেছে মোদী সরকার। এডিটর্স গিল্ডের বক্তব্য ছিল, এই বিলটি আইনে পরিণত হলে রাষ্ট্র সংবাদমাধ্যমের কাজে আরও বেশি করে নাক গলিয়ে দেখতে চাইবে, কী ভাবে তারা কাজ করছে। যখন-তখন অফিসেও ঢুকে পড়তে পারবে। প্রেস রেজিস্ট্রারের বদলে পুলিশ বা অন্য আইনরক্ষক সংস্থার সক্রিয়তা বাড়বে বেশি। আজ কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, ‘‘যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে, তারা কোও সংবাদপত্র চালাতে পারবে না।’’ এডিটর্স গিল্ডের আশঙ্কা, সরকার যে ভাবে ঢালাও ইউএপিএ বা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রয়োগ করছে, তাতে হয়তো সরকারের সমালোচনা করলেই সংবাদপত্র প্রকাশনার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।

বাস্তব বলছে, ওয়র্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স-এ ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারত ১৬১তম। হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডে সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তে থেকে শুরু করে নিউজ়ক্লিক পোর্টালে উপরে ধরপাকড়— সবই মোদীর জমানায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন